এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নেয়া বিভিন্ন এজেন্ডার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ হয়।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দেশটির বোস্টন, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসিসহ অন্যান্য রাজ্যের ১২০০ স্থানে ‘হ্যান্ডস অফ’ নামে এই সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। খবর বিবিসি।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের ট্রাম্পবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা অভিবাসী বিরোধী অভিযান, শুল্কারোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনে ইলন মাস্কের প্রভাবের সমালোচনাও করেন তারা। বিক্ষোভকারীদের হাতে হ্যান্ডস অফ কানাডা, গ্রিনল্যান্ড, ইউক্রেন লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
এদিকে, ডেমোক্র্যাট আইনপ্রনেতারাও প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব তোলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। ডালাসের একজন বিক্ষোভকারী বলেন, জাতীয় সংকটে এখানে একত্রিত হয়েছি। কারণ তারা সংবিধান অনুসরণ করছে না। তারা ভাবছে সবকিছু নিজেদের ইচ্ছামতো হবে। তবে তা কখনো হবে না। এই দেশ আমাদের।
আটলান্টা শহরের একজন প্রতিবাদকারী বলেন, যা ঘটছে তা হলো ক্ষমতার অপব্যবহার। এত বড় বড় পদক্ষেপের জন্য সিনেটে শুনানি করা হচ্ছে না। জনগণ এগুলোর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে এসেছে।
ডেমোক্র্যাট দলীয় কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর বলেন, আমরা গণতন্ত্র ও সংবিধানের জন্য লড়ছি। নিজের পরিবারের কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতের জন্য লড়ছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বৈরাচার হতে চাইছেন। আমেরিকায় কোনো স্বৈরাচারকে মেনে নেবো না। একজন ধনকুবের প্রেসিডেন্টের পাশের সিটটি কিনে নিয়ে তাকে পুতুল বানিয়ে রেখেছেন। তবে আমেরিকার গণতন্ত্র বিক্রির জন্য নয় এবং তা হবেও না।
ডেমোক্র্যাট দলীয় আরেক কংগ্রেস সদস্য আল গ্রিন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো এবার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেন না। আমরা ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনবো। অন্যদিকে, বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর লন্ডন, প্যারিস এবং বার্লিনসহ আমেরিকার বাইরেও ট্রাম্পবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।