এবার কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ডজনেরও বেশি বিশ্বনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। পাকিস্তানও তার মিত্র চীন, সৌদি আরব, ইরান ও মিসরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সোচ্চার বলিউড তারকার। এবার এ হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি নিজেদের ঐক্য বজায় রাখার পক্ষেও দক্ষিণী অভিনেতা বিজয় দেবরকোন্ডা। অভিনেতা সূর্য অভিনীত তামিল ছবি ‘রেট্রো’র প্রচারে গিয়ে বিজয় বলেন, কাশ্মীরে যা চলছে, তার একমাত্র সমাধান শিক্ষার প্রসার, যাতে সহজে স্থানীয় যুবকদের মগজ ধোলাই করা না যায়। ওরা কী পাবেন? কাশ্মির ভারতের, কাশ্মীরিরা আমাদের।
প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ না চালিয়ে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, পাকিস্তান তো নিজেদের দেখভাল নিজেরাই করতে পারে না। ওদের প্রয়োজনীয় পানি, বিদ্যুতের অভাব রয়েছে। ভারতের কোনও প্রয়োজনই নেই ওই দেশকে আক্রমণ করার। ওখানকার নাগরিকেরাই নিজেদের সরকারের উপর বিরক্ত।
এরপরই বিজয় দাবি করেন, ভারতীয় নাগরিকদের উচিত পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখা। তার কথায়, শিক্ষাই মূলধন। আসুন আমরা সুখে থাকি, আমাদের অভিভাবকদের সুখে রাখি। একমাত্র এই পথেই উন্নতি। এরই পাশাপাশি বিজয় নিজের স্মৃতি রোমন্থনও করেছেন। বছর দুয়েক আগে ছবির কাজে কাশ্মীর ছিলেন অভিনেতা। সেখানে জন্মদিনও পালন করেছিলেন। প্রসঙ্গত, গেল ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন পর্যটক, গুরুতর আহত হন আরও ২০। এরপরই প্রতিবাদে সোচ্চার হন তারকারা।
কাশ্মিরের ভারত-শাসিত অঞ্চলে ১৯৮৯ সাল থেকে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চলছে। বহু কাশ্মিরি মুসলিম বিদ্রোহীদের সমর্থন করেন এবং তারা চায়, অঞ্চলটি হয় পাকিস্তানে যোগ দিক অথবা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক। ভারত দাবি করে থাকে, এটি পাকিস্তান-প্রভাবিত “সন্ত্রাসবাদ”। অন্যদিকে পাকিস্তান বলে—এটি একটি বৈধ স্বাধীনতাকামী আন্দোলন। দীর্ঘ সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, বিদ্রোহী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।