Home আন্তর্জাতিক ‘চিকেন’স নেক’ ভারতের শিলিগুড়ি শহর ঘিরে ফেলা হচ্ছে!

‘চিকেন’স নেক’ ভারতের শিলিগুড়ি শহর ঘিরে ফেলা হচ্ছে!

0
18

“তৃণমূলের কাউন্সিলররা পর্যন্ত অভিযোগ করছেন, নদীর চরে লোক বসে যাচ্ছে। ধরনের ডকুমেন্ট তৈরি করছে ওরা। এতে শিলিগুড়ি শহরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।” ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর রাতারাতি বদলে গেছে পরিস্থিতি। পাকিস্তানি যারা ভারতে রয়েছে তাদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসবের মধ্যেই বার বার সামনে আসছে ভারতের জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকার প্রসঙ্গ।

জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো এই ‘চিকেন’স নেক’। এই চিকেন’স নেকের সুরক্ষার ওপর বিশেষভাবে নজর থাকে সুরক্ষা বাহিনীর। এবার সেই চিকেন’স নেকের অংশ হিসেবে শিলিগুড়ির সুরক্ষা কতটা বজায় রয়েছে, কতটা নিশ্চিত করা হয়েছে সেটা জানতে সোমবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, পুর নিগমের বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন প্রমুখ।

পরে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তে আকাশের যা পরিস্থিতি শিলিগুড়ি শহরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও আকাশের মতোই ঘন কালো মেঘ ছেয়ে আছে। শিলিগুড়ি শহর চিকেন’স নেক নামে পরিচিত। এই অংশকে চিকেন’স নেক বলা হয়ে থাকে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগাম পরিস্থিতির পরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, নির্দেশিকা যাই বলুন না কেন পাকিস্তানিরা যদি কোনো রাজ্যে থাকে দেশ ছাড়ার নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের খবর সংবাদমাধ্যমে পাচ্ছি, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে কী হচ্ছে সাধারণভাবে কোনো তথ্য মানুষের সামনে নেই। পুলিশের কাছে এসেছিলাম। আমাদের আশা রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দফতর বিশেষভাবে মনিটর করে তারা উদ্যোগী হবে শিলিগুড়ি শহর অত্যন্ত সংবেদনশীল। কোনও পাকিস্তানি নাগরিক লং টার্ম ভিসা নিয়ে এখানে থেকে যাচ্ছেন কিনা সেটা নিয়ে যেন বাড়তি নজর দেয়, এক্ষেত্রে যাদের সহযোগিতা প্রয়োজন সেটা যেন নেন তার আবেদন জানিয়েছি।’

সেইসাথে তিনি বলেন, ‘এই সময়কালে শিলিগুড়ি শহর বিভিন্ন দিক থেকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। তৃণমূলের কাউন্সিলররা পর্যন্ত অভিযোগ করছেন, নদীর চরে লোক বসে যাচ্ছে। নেতারা টাকা নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। নানা ধরনের ডকুমেন্ট তৈরি করছে ওরা। শিলিগুড়ি শহরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।

শিলিগুড়ি শহরের বিধায়ক হওয়ার জন্য এখানে বড় হয়ে ওঠার কারণে জানি হঠাৎ করে অত্যাধিক সংখ্যক মানুষ থাকছেন। যে রুমে চার-পাঁচজন থাকার কথা সেখানে ২০-২৫ জন করে থাকছে। একটা ছোট্ট অংশের মধ্যে অসংখ্য মানুষ থাকছে। বিশেষ বিশেষ নামকরণ করা হচ্ছে।’ সব মিলিয়ে বিরাট উদ্বেগের কথা জানালেন শঙ্কর ঘোষ। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here