ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসি’র কঠোর অবস্থান: স্থগিত দলের প্রতীকও স্থগিত থাকবে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৫:৪০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৭৬ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে এবং দলীয় প্রতীকে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সুযোগ রাখা হবে কিনা তা সময় বলে দেবে। সরাসরি আওয়ামী লীগের নাম না বললেও স্থগিত দলের প্রসঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনে কয়েকটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষমতা দেওয়া এবং আদালতের ফেরারি আসামি, লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তি বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার থাকা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রার্থীরা যদি হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেন বা তথ্য গোপন করেন তবে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং সেই প্রার্থী সংসদ সদস্য পদ হারাতে পারেন। এছাড়া প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা রাখা হবে।

জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হলেও প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ইভিএম সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল করা হয়েছে। ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি থাকবে, তবে নির্বাচনী পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গ করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে ১৯ সেনা নিহত হওয়ার পর কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন শাহবাজ শরিফ

ইসি’র কঠোর অবস্থান: স্থগিত দলের প্রতীকও স্থগিত থাকবে

আপডেট সময় ০৫:৪০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে এবং দলীয় প্রতীকে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সুযোগ রাখা হবে কিনা তা সময় বলে দেবে। সরাসরি আওয়ামী লীগের নাম না বললেও স্থগিত দলের প্রসঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনে কয়েকটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষমতা দেওয়া এবং আদালতের ফেরারি আসামি, লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তি বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার থাকা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রার্থীরা যদি হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেন বা তথ্য গোপন করেন তবে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং সেই প্রার্থী সংসদ সদস্য পদ হারাতে পারেন। এছাড়া প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা রাখা হবে।

জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হলেও প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ইভিএম সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল করা হয়েছে। ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি থাকবে, তবে নির্বাচনী পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গ করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।