ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অসুস্থতার অজুহাতে ছুটি নিয়ে বিএনপি’র অনুষ্ঠানে শিক্ষিকা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:২০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৪ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জিয়ারা খাতুন রোজি নামে এক শিক্ষক। তিনি অষ্টমীর ইউনিয়নের চর মুদাফৎ কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ছিল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ওই দিন সকাল ১০টার দিকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে ফোন করে অসুস্থতার কারণে মৌখিক ছুটি নেন জিয়ারা খাতুন। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে তাকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার সামনের সারিতে দেখা যায়। বিষয়টি ছবি ও ভিডিওসহ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সমালোচনা শুরু হয়।

বিদ্যালয়ের কিছু অভিভাবক এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। এতে শিক্ষকদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী সরকার নিশ্চিত করেন, জিয়ারা খাতুন রোজি উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।

নিজেও বিষয়টি স্বীকার করেছেন রোজি। তিনি বলেন, চাকরিবিধি অনুযায়ী কাজটি সঠিক হয়নি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে তিনি হয় চাকরি নয়তো রাজনীতি—একটিকে বেছে নেবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, জিয়ারা খাতুন যে বিএনপি’র মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক তার প্রমাণসহ প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। জেলা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অসুস্থতার অজুহাতে ছুটি নিয়ে বিএনপি’র অনুষ্ঠানে শিক্ষিকা

আপডেট সময় ০৮:২০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জিয়ারা খাতুন রোজি নামে এক শিক্ষক। তিনি অষ্টমীর ইউনিয়নের চর মুদাফৎ কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ছিল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ওই দিন সকাল ১০টার দিকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে ফোন করে অসুস্থতার কারণে মৌখিক ছুটি নেন জিয়ারা খাতুন। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে তাকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার সামনের সারিতে দেখা যায়। বিষয়টি ছবি ও ভিডিওসহ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সমালোচনা শুরু হয়।

বিদ্যালয়ের কিছু অভিভাবক এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। এতে শিক্ষকদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী সরকার নিশ্চিত করেন, জিয়ারা খাতুন রোজি উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।

নিজেও বিষয়টি স্বীকার করেছেন রোজি। তিনি বলেন, চাকরিবিধি অনুযায়ী কাজটি সঠিক হয়নি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে তিনি হয় চাকরি নয়তো রাজনীতি—একটিকে বেছে নেবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, জিয়ারা খাতুন যে বিএনপি’র মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক তার প্রমাণসহ প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। জেলা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।