ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠিকাদারি নিয়ে ফোনালাপ ফাঁস: রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা রুবেল বহিষ্কার

ঠিকাদারি কাজ নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির রাজপাড়া থানা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক রুবেলকে (ভুলবশত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাম লেখা হয় রবিউল আলম) দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

বুধবার (২১ মে) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দলের নীতি আদর্শ পরিপন্থী ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার দায়ে মাহমুদুল হক রুবেলকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তবে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা জানান, বহিষ্কৃত নেতার প্রকৃত নাম মাহমুদুল হক রুবেল হলেও বিজ্ঞপ্তিতে ভুলবশত রবিউল আলম লেখা হয়েছে। তিনি বলেন, “যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, দলের হাইকমান্ড কাউকেই ছাড় দেবে না।”

ঘটনার সূত্রপাত রাজশাহী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বৃক্ষপালনবিদ কার্যালয়ের একটি দরপত্রকে ঘিরে। সেখানে সরকারি গাছ বিক্রির জন্য ৯টি লট তৈরি করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। নওগাঁর মান্দা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও ঠিকাদার শাহজাহান আলী এতে অংশ নিয়ে প্রায় ছয় লাখ টাকায় দুটি লটের কাজ পান।

এই কাজের লভ্যাংশ থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে মাহমুদুল হক রুবেল তাকে ফোন করেন। প্রায় ১০ মিনিটের সেই ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে রুবেল ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “১৭ বছর খাইনি, এখন খাব।” তিনি শাহজাহানকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।

শাহজাহান উত্তরে জানান, “আমিও তো ১৬ বছর পর একটা কাজ পেয়েছি।” এই ফোনালাপ রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইশরাক হোসেনের হুঁশিয়ারি: দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

ঠিকাদারি নিয়ে ফোনালাপ ফাঁস: রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা রুবেল বহিষ্কার

আপডেট সময় ১১:০০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ঠিকাদারি কাজ নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির রাজপাড়া থানা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক রুবেলকে (ভুলবশত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাম লেখা হয় রবিউল আলম) দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

বুধবার (২১ মে) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দলের নীতি আদর্শ পরিপন্থী ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার দায়ে মাহমুদুল হক রুবেলকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তবে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা জানান, বহিষ্কৃত নেতার প্রকৃত নাম মাহমুদুল হক রুবেল হলেও বিজ্ঞপ্তিতে ভুলবশত রবিউল আলম লেখা হয়েছে। তিনি বলেন, “যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, দলের হাইকমান্ড কাউকেই ছাড় দেবে না।”

ঘটনার সূত্রপাত রাজশাহী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বৃক্ষপালনবিদ কার্যালয়ের একটি দরপত্রকে ঘিরে। সেখানে সরকারি গাছ বিক্রির জন্য ৯টি লট তৈরি করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। নওগাঁর মান্দা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও ঠিকাদার শাহজাহান আলী এতে অংশ নিয়ে প্রায় ছয় লাখ টাকায় দুটি লটের কাজ পান।

এই কাজের লভ্যাংশ থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে মাহমুদুল হক রুবেল তাকে ফোন করেন। প্রায় ১০ মিনিটের সেই ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে রুবেল ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “১৭ বছর খাইনি, এখন খাব।” তিনি শাহজাহানকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।

শাহজাহান উত্তরে জানান, “আমিও তো ১৬ বছর পর একটা কাজ পেয়েছি।” এই ফোনালাপ রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।