পরকীয়া বা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের পেছনে মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণ কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা মূলত নিম্নলিখিত পাঁচটি কারণে পরকীয়া ঘটে বলে উল্লেখ করেছেন:
১. মানসিক বা আবেগিক দূরত্ব:
শারীরিক নৈকট্য থাকলেও যদি মানসিক বা আবেগিক সংযোগ না থাকে, তবে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়। সঙ্গীর সঙ্গে অনুভূতি, ভয় বা স্বপ্ন ভাগাভাগি না করতে পারার ফলে কেউ বাইরের কারও সঙ্গে আবেগিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
২. শারীরিক অসন্তুষ্টি:
দীর্ঘদিনের সম্পর্কের মধ্যে শারীরিক আকর্ষণ কমে যাওয়া বা যৌন জীবনে সন্তুষ্টি না পাওয়া পরকীয়ার একটি প্রধান কারণ। নতুন সম্পর্কের মাধ্যমে সেই তৃপ্তি খোঁজা হয়।
৩. অবহেলিত বোধ করা:
যখন একজন সঙ্গী অন্যজনের কাছে গুরুত্বহীন বা অবহেলিত মনে হয়, বিশেষ করে যখন সঙ্গী ব্যস্ত থাকে, তখন সে নিজের গুরুত্ব প্রমাণের জন্য অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে।
৪. প্রতিশোধের ইচ্ছা:
যদি একজন মনে করে তার সঙ্গে অবিচার বা প্রতারণা হয়েছে, ক্ষোভ ও রাগ থেকে পরকীয়ার দিকে ঝুঁকতে পারে। এটি মূলত প্রতিশোধভিত্তিক আচরণ।
৫. সম্পর্কের একঘেয়েমি:
দীর্ঘদিন একই রকম জীবনযাপন করলে সম্পর্ক একঘেয়েমি হয়ে যায়। নতুন রোমাঞ্চ বা রোম্যান্টিক অভিজ্ঞতার খোঁজে অনেকেই পরকীয়ায় জড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করান, পরকীয়া কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি গভীর সমস্যার লক্ষণ। সমস্যার সমাধানের জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া, খোলাখুলি আলোচনা এবং প্রয়োজনে থেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া জরুরি।