বগুড়ার নন্দীগ্রামে শরতের সকালেই নেমেছে ঘন কুয়াশার চাদর। সকালবেলায় মহাসড়ক থেকে শুরু করে গ্রামীণ জনপদের অলিগলিও ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশায়। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি শেষে নন্দীগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় গত দু’দিন ধরে ভোরবেলা দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশা। বৃহস্পতিবার ভোরে ফসলের মাঠ, ঘাসের ডগা ও গাছের পাতায় জমে থাকা শিশিরবিন্দু যেন শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল নন্দীগ্রাম মহাসড়ক ও আশপাশের জনপদ। তবে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বেড়ে গরম অনুভূত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘন কুয়াশা সাধারণত নভেম্বর মাসে দেখা যায়। কিন্তু অক্টোবরের শুরুতেই এ দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক। স্থানীয় শিক্ষক সাজু আহমেদ জানান, “এখনো তো শীত আসার সময় হয়নি। কিন্তু টানা বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ের পর গত তিনদিন ধরে ভোরবেলা মনে হচ্ছে শীত নেমে এসেছে। সকালে চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে থাকে, রাতে হালকা কাঁথা নিতে হয়। তবে দিনে রোদে আবার গরমও লাগে।” নন্দীগ্রামের কৃষকরা বলছেন, হালকা শীত পড়তে শুরু করায় মাঠের ফসলের জন্য এটি ভালো লক্ষণ। ধান ও সবজির জমিতে শিশির পড়ায় আর্দ্রতা বেড়েছে, যা ফসল বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী আবহাওয়াবিদ আশেকুর রহমান বলেন, “অক্টোবরের শুরুতেই কুয়াশা দেখা যাওয়া এবারের শীতের আগমনকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। কুয়াশার কারণে সকাল ও রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে। তবে দিনভর রোদে গরম আবহাওয়াই থাকবে।”এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ সকালে হালকা সোয়েটার বা শাল পরে বের হচ্ছেন। শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে হাত ঘষে ঘষে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছে। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, অক্টোবরের শুরুতেই কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন মাঠে শাক সবজি ফালিয়েছে। কিছুদিন পর থেকেই সেসব সবজিগুলো বাজারে উঠতে শুরু করবে। শাক সবজির দাম কিছুটা বৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা তাদের শাক সবজি তুলে বাজারে ভালো দামে বিক্রয় করতে পারবেন বলে জানান তিনি।