লিকলিকে শরীর, পরনে রক্তমাখা পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি। রাত সাড়ে ১১টার সময়ও সন্তানের রক্তজমাট পড়ে ছিল পাশের রাস্তায়। সড়কবাতির নিচে দাঁড়িয়ে কাঁপা গলায় তিনি বলছিলেন, “আমার ছেলেকে খুন করেছে রায়হান।” চারপাশে তখন নিস্তব্ধতা, পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন জন-দশেক মানুষ।
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার খোন্দকারাবাদ ফতেপুকুর পাড়ে ঘটেছে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড। নিহত সরোয়ার হোসেন বাবলার বাবা আবদুল কাদের নিজ চোখে দেখেছেন সেই বিভীষিকাময় দৃশ্য।
শোকে পাথর এই পিতা জানান, “প্রায়ই ফোনে আমার ছেলেকে গালাগাল দিত রায়হান। হুমকিও দিত। তারা মনে করতো, বুড়ির নাতি সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পেছনে আমার ছেলের হাত আছে। আমরা সাজ্জাদের অনুসারী রায়হানসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছিলাম। সরোয়ারের আইনজীবীসহ অনেকে তাকে সতর্ক থাকতে বলেছিল, কিন্তু বাড়ির সামনে এভাবে খুন করবে—ভাবিনি কখনো।”
রক্তমাখা পোশাক, পাথর হয়ে যাওয়া পিতা আর নিথর সন্তানের লাশ—পুরো এলাকাজুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন, কেন এমন নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড?


























