ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনার বাংলাদেশে ঢোকার খবর, বিশেষ বার্তা পুলিশ সদর দপ্তরের

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:২১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৮২১ বার পড়া হয়েছে

 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার তারিখ জানাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এই রায়কে কেন্দ্র করে পতিত স্বৈরাচারের দল যেন কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের টহল, মোবাইল ও পিকেট পার্টিকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেশের সব জেলার এসপিদের কাছে বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে—রায়ের তারিখ ঘিরে কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সুযোগ দেওয়া যাবে না। ঝটিকা মিছিল বা অনলাইন উসকানির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে টিকটক ও ফেসবুকে সক্রিয় হয়ে উসকানিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা “১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনা দেশে ফিরছেন” এমন ভুয়া তথ্যও ছড়াচ্ছে। এসব কার্যক্রমে জড়িতদের শনাক্ত করে তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ।

বিদেশে পলাতক থাকা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলসহ কয়েকজনের অনলাইন তৎপরতার দিকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ঢাকায় প্রবেশপথগুলোতে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি, সন্দেহভাজনদের দেহ তল্লাশি ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্মীয় উপাসনালয় ও সংবেদনশীল এলাকাগুলোতেও র‌্যাবের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী ছদ্মবেশে মাঠে নেমে ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করছে। তাদের এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা রয়েছে।

আইজিপি বাহারুল আলম জানিয়েছেন, “রায়ের দিন কোনো ধরনের নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না। ডিএমপি, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সেনা সদস্যরাও প্রস্তুত রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বিনষ্টের যে কোনো অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”

সূত্র: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়ী হলে জাতীয় সরকার করবে জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান

হাসিনার বাংলাদেশে ঢোকার খবর, বিশেষ বার্তা পুলিশ সদর দপ্তরের

আপডেট সময় ১০:২১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার তারিখ জানাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এই রায়কে কেন্দ্র করে পতিত স্বৈরাচারের দল যেন কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের টহল, মোবাইল ও পিকেট পার্টিকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেশের সব জেলার এসপিদের কাছে বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে—রায়ের তারিখ ঘিরে কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সুযোগ দেওয়া যাবে না। ঝটিকা মিছিল বা অনলাইন উসকানির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে টিকটক ও ফেসবুকে সক্রিয় হয়ে উসকানিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা “১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনা দেশে ফিরছেন” এমন ভুয়া তথ্যও ছড়াচ্ছে। এসব কার্যক্রমে জড়িতদের শনাক্ত করে তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ।

বিদেশে পলাতক থাকা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলসহ কয়েকজনের অনলাইন তৎপরতার দিকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ঢাকায় প্রবেশপথগুলোতে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি, সন্দেহভাজনদের দেহ তল্লাশি ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্মীয় উপাসনালয় ও সংবেদনশীল এলাকাগুলোতেও র‌্যাবের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী ছদ্মবেশে মাঠে নেমে ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করছে। তাদের এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা রয়েছে।

আইজিপি বাহারুল আলম জানিয়েছেন, “রায়ের দিন কোনো ধরনের নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না। ডিএমপি, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সেনা সদস্যরাও প্রস্তুত রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বিনষ্টের যে কোনো অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”

সূত্র: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।