ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“জজ সাহেব, এই ট্রাইব্যুনাল যেন থাকে। একদিন এখানে হাসিনারও বিচার হবে…”

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৫:১৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৮৩ বার পড়া হয়েছে

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্য নিয়ে দেড় দশক আগে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন শেখ হাসিনা, আজ সেই আদালতেই নিজের ফাঁসির রায় শুনতে হলো তাকে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেল এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হন শেখ হাসিনা এবং ভারতে আশ্রয় নেন। আদালতের একাধিক সমন সত্ত্বেও অনুপস্থিত থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই মামলার রায় দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনাল জানায়, হাসিনার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন শেখ হাসিনা। সেই বিচারপ্রক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির বহু শীর্ষ নেতা ফাঁসিসহ বিভিন্ন সাজা পান, যদিও সেই সময় আদালতের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।

বিচার চলাকালে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একটি বক্তব্য আবার আলোচনায় এসেছে—
“জজ সাহেব, এই ট্রাইব্যুনাল যেন থাকে। একদিন এখানে হাসিনারও বিচার হবে…”
দশ বছর আগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর ঠিক সেই একই ট্রাইব্যুনালেই এবার হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হলো।


 

জনপ্রিয় সংবাদ

“জজ সাহেব, এই ট্রাইব্যুনাল যেন থাকে। একদিন এখানে হাসিনারও বিচার হবে…”

আপডেট সময় ০৫:১৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্য নিয়ে দেড় দশক আগে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন শেখ হাসিনা, আজ সেই আদালতেই নিজের ফাঁসির রায় শুনতে হলো তাকে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেল এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হন শেখ হাসিনা এবং ভারতে আশ্রয় নেন। আদালতের একাধিক সমন সত্ত্বেও অনুপস্থিত থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই মামলার রায় দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনাল জানায়, হাসিনার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন শেখ হাসিনা। সেই বিচারপ্রক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির বহু শীর্ষ নেতা ফাঁসিসহ বিভিন্ন সাজা পান, যদিও সেই সময় আদালতের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।

বিচার চলাকালে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একটি বক্তব্য আবার আলোচনায় এসেছে—
“জজ সাহেব, এই ট্রাইব্যুনাল যেন থাকে। একদিন এখানে হাসিনারও বিচার হবে…”
দশ বছর আগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর ঠিক সেই একই ট্রাইব্যুনালেই এবার হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হলো।