রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবিকে পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে এ বিষয়ে স্বাক্ষর করেছে, তাই গণভোট আগে করলে সমস্যা কোথায়—এ প্রশ্নই এখন প্রধান।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, গণভোট হলে চলমান বহু সমস্যা সমাধানের পথ খুলবে। হাতে সময় কম থাকায় জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা জরুরি।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসনের কিছু অংশ এখনো নির্দিষ্ট দলকে সুবিধা দিচ্ছে। সরকারি চাকরিজীবীদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিরপেক্ষতা বজায় থাকলে রংপুর-২ আসনে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে।
প্রচারণার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, সাড়ে তিন থেকে চার মাস ধরে বদরগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি। বিশেষত নারী ভোটারদের সমর্থন সবচেয়ে বেশি আশা করছেন। দীর্ঘদিন নির্যাতিত থাকার কারণে মানুষ তাকে ভোট দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তরুণ প্রজন্মের বিপ্লবী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ—সব শ্রেণির পাশাপাশি অমুসলিম ভোটারদের মধ্যেও তাকে নিয়ে আগ্রহ রয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে প্রথমেই এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবেন। বৈষম্যের শিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিভুক্তি নিয়ে কাজ করবেন। শ্যামপুর সুগার মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, আইনগত বাধা না থাকলে মিলটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেবেন। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জানান, বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো আধুনিকায়ন করা হবে এবং সুলভ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দুর্নীতিমুক্ত থেকে এতদিন কাজ করেছি, নির্বাচিত হলেও দুর্নীতিমুক্ত থাকব। সরকারি বরাদ্দের একটি হারামের টাকাও আমার পেটে যাবে না।” নিজের জয়ের বিষয়ে তিনি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী জানিয়ে বলেন, “আমার বিজয় এমন হবে, আমার ধারেকাছেও কেউ আসতে পারবে না।”
বৃহৎ শোডাউনে প্রায় চার হাজার মোটরসাইকেল অংশ নেয়। শোভাযাত্রা বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর মাঠ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।


























