কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রক্তক্ষয়ী রূপ নিয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার নেতৃত্বে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রচার মিছিলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে হামলা ও গুলির অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি নেতা–কর্মীদের।
বিকেলে বাজিতপুর পৌর ও উপজেলা বিএনপির ব্যানারে মিছিলটি বের হয়। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা–কর্মীরা সদরের কোর্ট মাঠমুখী মিছিলে যোগ দিতে আসার পথে ফায়ার সার্ভিস মোড়, মথুরাপুর মোড়, সরিষাপুর ও হালিমপুরসহ একাধিক পয়েন্টে গুলি ছোড়া ও পথরোধ করে মারধরের ঘটনা ঘটে।
সরারচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান অভিযোগ করেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরের অনুসারীরা মিছিলে পৌঁছানোর পথেই তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ কয়েকজন আহত হন।
গাজিরচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়ার দাবি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবালের অনুসারীরা তাদের মিছিলে হামলা করে।
জেলা যুবদলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সমর্থনে সৈয়দ এহসানুল হুদার নেতৃত্বে মিছিল আয়োজন করা হলেও উপজেলা বিএনপির দুটি শীর্ষপদের অনুসারীরা পথে পথে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সৈয়দ এহসানুল হুদা অভিযোগ করেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোকজন ‘সন্ত্রাসী কায়দায়’ মিছিলে গুলি চালিয়েছে এবং হামলা করেছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বড় কোনো সংঘাত হয়নি, আমাদের কেউ ঘটনাস্থলে ছিল না।”
বাজিতপুর থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেন বলেন, কিছু গণ্ডগোলের খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


























