আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শরিফ ওসমান হাদি। প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন—নিজ এলাকার ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ইংরেজি শিক্ষা প্রদান করবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘোষণা ইতিবাচক সাড়া তৈরি করলেও, সমালোচনার ঝড়ও বয়ে গেছে।
সাবেক এনসিপি নেত্রী নীলা ইসরাফিল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হাদির একটি ভিডিওর স্ক্রিনশট শেয়ার করে তার ভাষণ ও বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, “যে শিক্ষকের মুখের ভাষাই এত নোংরা, সে জাতিকে কী শেখাবে?”
হাদি এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও তার আচরণ ও ভাষাশৈলী নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন নীলা। তার ভাষায়, “নিজে মানুষ হবার শিক্ষা নেই, কিন্তু স্বপ্ন দেখে এমপি হওয়ার। দেশের ট্র্যাজেডি এখানেই—অশিক্ষিত আচরণ যেখানে যোগ্যতার মাপকাঠি, সেখানে ক্ষমতার চাবি সবচেয়ে নোংরা হাতে চলে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “সংসদে বসে নীতি ঠিক করবে যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। শিক্ষকতার মতো পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে যে গালিগালাজকে পাঠ্যবই বানায়, তার রাজনীতি যে কতটা নোংরা হতে পারে তা বুঝতে গণিত শেখার দরকার নেই।”
শরিফ ওসমান হাদির শিক্ষামূলক উদ্যোগকে অনেকেই ইতিবাচকভাবে দেখলেও, তার ব্যক্তিগত আচরণ, বক্তব্য এবং অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে এখন তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী মাঠ গরম হওয়ার সাথে সাথে এই বিতর্ক আরও বাড়বে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা।


























