রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘সম্মিলিত ইমাম-খতিব জাতীয় সম্মেলনে’ দেশের ইমাম ও খতিবদের মর্যাদা, সামাজিক নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণে জোর দাবি উঠেছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন,
“আমাদের ইমাম-খতিবরা কারও করুণার পাত্র হবেন—এটা আমরা দেখতে চাই না। তাদের প্রকৃত মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। সমাজকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব ইমামদেরই নিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহিল বাকি আন-নদভী। বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীরে চরমোনাই), জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মুফতি আজহারুল ইসলাম ও মুফতি শরিফুল্লাহ।
সম্মেলনে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ, ইমাম-খতিবদের সম্মানজনক ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা এবং আধুনিক নীতিমালা প্রণয়নসহ একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়।
বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন,
রসুল (সা.) দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমেই মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনা থেকেও সমাজ সেবার কাজ—সবই হয়েছে মসজিদে নববী থেকে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “নবীজির আদর্শের বাইরে মনগড়া কোনো তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে সমাজ গড়া হলে, সেই সমাজ দুনিয়ায় শান্তি বা সম্মান কোনোটাই পাবে না।”
সম্মেলনে ইমাম-খতিবরা সাত দফা দাবি পেশ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
- রাষ্ট্র পরিচালনায় সব ধর্মের অধিকার রক্ষা করে ইসলামি শরিয়াহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া
- জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে ইমাম-খতিবদের সম্পৃক্ত করা
- জেলা-উপজেলা-থানা পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটিতে ইমাম-খতিবদের অন্তর্ভুক্তি
- সব মাদরাসার বিদ্যুৎ বিল মসজিদের মতো ডি-ট্যারিফে আনা
- সব মসজিদ ও মাদরাসার পানি বিল ৫০% মওকুফ করা


























