খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন—এমন “বানোয়াট ও ভিত্তিহীন” তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার (২৪ নভেম্বর) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুস ছাত্তার ও সেক্রেটারি আবু ইউসুফ এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সেক্রেটারি মো. রুবেল দীর্ঘদিন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তার দায়িত্ব স্থগিত করা হয়। এরপর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় নীতিমালা অনুযায়ী তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নেতারা জানান, বহিষ্কারের পর রুবেল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন—এ বিষয়ে সংগঠনের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। বর্তমানে তার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের “কোনো সাংগঠনিক সংশ্লিষ্টতা নেই” বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক মতাদর্শ গ্রহণের অধিকার রয়েছে, কিন্তু স্থানীয় বিএনপি নিজেদের রাজনৈতিক দুরবস্থা কাটাতে ও কর্মীদের মনোবল বাড়াতে “যোগদান নাটক” সাজিয়েছে। নিজেদের দলের কর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করে তা ছাত্রশিবির কর্মীদের যোগদান হিসেবে প্রচার করা—“নির্লজ্জ রাজনৈতিক প্রতারণা” বলে উল্লেখ করেন তারা।
ছাত্রশিবির নেতারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় ও জাতীয় কিছু গণমাধ্যম যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে, যা সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থী। তারা পেশাদারিত্ব ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখার আহ্বান জানান গণমাধ্যমের প্রতি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপিতে ছাত্রশিবিরের কোনো নেতাকর্মী যোগ দেননি। জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাই। বিএনপিকে অপরাজনীতি বাদ দিয়ে গঠনমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফেরার পরামর্শ দিচ্ছি।”


























