বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)–এর ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে যেভাবে ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ’ ধ্বংস করেছে, তা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। তার দাবি, আওয়ামী লীগ কখনোই একক শক্তিতে রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরতে সক্ষম হতো না; বরং বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব আড়াল করতে এবং ক্ষমতায় যাওয়ার শর্টকাট খুঁজতে বারবার ব্যাকডোর সহযোগিতা নিয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির সহযোগিতা ছাড়া আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারত না—এটাই বাস্তবতা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নোয়াখালী জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নোয়াখালীর ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বুলু বলেন, অতীত ভুলে গেলে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা বোঝা সম্ভব নয়। জনগণের সামনে সত্য তুলে ধরাই এখন বিএনপির দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে ‘বেহেশতের টিকিট’ বিক্রির মতো যেকোনো সমর্থন নিতে দ্বিধা করেনি। ইতিহাস বিকৃত করে সুবিধামতো গল্প সাজানোর চেষ্টা করছে তারা। গণতন্ত্র বা স্বৈরাচার—কোনোটাই আওয়ামী লীগের কাছে বিবেচ্য ছিল না; তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ক্ষমতা ও এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ বিএনপির ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে এবং গণতন্ত্রকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলেছে। দেশের বর্তমান সংকটে বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, জনগণের অধিকার রক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।
বুলু আরও বলেন, বর্তমান সরকারের ব্যর্থতায় অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, ব্যাংক খাত লুটেরাদের হাতে চলে গেছে, দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে, বিচার বিভাগে ন্যায়বিচার নেই এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সংকট থেকে উত্তরণে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন জরুরি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হক। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, নোয়াখালী–৫ আসনের বিএনপির প্রার্থী ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

























