ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর–কাঠালিয়া) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আলোচিত রাজনীতিক ড. ফয়জুল হক। বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর জেলা জামায়াতের মূল্যায়নের ভিত্তিতে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়।
মনোনয়ন ঘোষণা করেন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট খান হাফিজুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এবিএম আমিনুল ইসলাম, জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আবদুর হাই এবং সদর উপজেলা আমির মাওলানা মনিরুল ইসলাম তালুকদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ঘোষণাকালে জেলা জামায়াতের আমির হাফিজুর রহমান বলেন, “ড. ফয়জুল হক একজন পরিশীলিত, নীতিবান ও সাহসী নেতা। তিনি এ অঞ্চলে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য, তাই দল থেকে তাকে পূর্ণভাবে মনোনীত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি তার নেতৃত্বে ন্যায়ের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে।”
মনোনয়ন পাওয়ার পর ড. ফয়জুল হক বলেন, “দাঁড়িপাল্লার মনোনয়ন পেয়ে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক সরকারের ভিত্তি গড়ে উঠবে। এ যাত্রার অংশ হতে পেরে গর্বিত।”
তিনি তার নির্বাচনি অঙ্গীকার হিসেবে উল্লেখ করেন:
- দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত প্রশাসন
- যুবসমাজের কর্মসংস্থান
- রাজাপুর–কাঠালিয়ার নদীভাঙন রোধ
- যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন
- জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস
- কৃষকদের সরাসরি বাজার সংযোগ
- এলাকার স্কুল-কলেজে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা
ড. ফয়জুল হক বলেন, “মানুষ পরিবর্তন চায়, আর আমি সেই পরিবর্তনের বার্তাবাহক হতে চাই। ঝালকাঠি-১ আসনের মানুষ সত্যের পক্ষে রায় দেবেন।”
তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ দেশের বিভিন্ন পির-মাশায়েখ, আলেম, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ড. ফয়জুল হক ১৯৮৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম চাড়াখালী গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও এমএ এবং মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৯ সালে পিএইচডি ও ২০২৩ সালে পোস্ট-ডক্টোরাল ফেলোশিপ সম্পন্ন করেছেন।
সর্বশেষ ১৬ বছর ধরে অনলাইন টকশো, লেখালেখি ও মাঠপর্যায়ে অন্যায়, জুলুম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছেন ড. ফয়জুল হক। প্রবাসে থেকেও ‘জুলাই বিপ্লব’-এর সময় জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।

























