ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুন্সিগঞ্জে মনোনয়ন দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ৭

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

 

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাধীন (২৪), সাইদুল (২৫), দেলোয়ার হোসেন (৪৯), সাহিদা বেগম (৫৫), জাকির হোসেন (৪০) ও সিহাদের (১৭) নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন। কিন্তু দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিনের সমর্থকেরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিলের আয়োজন করেন। মিছিল শুরুর আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এরপর সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফ হোসেন রাজু জানান, দুজন রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্বাধীন নামের একজনের অবস্থা গুরুতর, তাঁর দুই হাত ও মাথায় আঘাত রয়েছে।

কামরুজ্জামান রতনের সমর্থক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ ফারুক বলেন, রতন গজারিয়ার সন্তান। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় এলাকায় আনন্দের পরিবেশ ছিল। হামলার ঘটনা দুঃখজনক।

অন্যদিকে মো. মহিউদ্দিনের সমর্থক আলী হোসেন বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমার অফিসে হামলা চালিয়েছে, গাড়ি ভেঙে চুরমার করেছে; এমনকি আমার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করেছে। আমার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন, এখন তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে আছি।’

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন বলেন, ‘হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ঘটনাটি শুনলাম। অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা জড়িত তাদের বিচার চাই। নেতা-কর্মীদের বলব, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীসহ আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত।’

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

মুন্সিগঞ্জে মনোনয়ন দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ৭

আপডেট সময় ১০:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

 

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাধীন (২৪), সাইদুল (২৫), দেলোয়ার হোসেন (৪৯), সাহিদা বেগম (৫৫), জাকির হোসেন (৪০) ও সিহাদের (১৭) নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন। কিন্তু দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিনের সমর্থকেরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিলের আয়োজন করেন। মিছিল শুরুর আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এরপর সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফ হোসেন রাজু জানান, দুজন রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্বাধীন নামের একজনের অবস্থা গুরুতর, তাঁর দুই হাত ও মাথায় আঘাত রয়েছে।

কামরুজ্জামান রতনের সমর্থক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ ফারুক বলেন, রতন গজারিয়ার সন্তান। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় এলাকায় আনন্দের পরিবেশ ছিল। হামলার ঘটনা দুঃখজনক।

অন্যদিকে মো. মহিউদ্দিনের সমর্থক আলী হোসেন বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমার অফিসে হামলা চালিয়েছে, গাড়ি ভেঙে চুরমার করেছে; এমনকি আমার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করেছে। আমার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন, এখন তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে আছি।’

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন বলেন, ‘হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ঘটনাটি শুনলাম। অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা জড়িত তাদের বিচার চাই। নেতা-কর্মীদের বলব, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীসহ আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত।’