ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩৫ বছর পর শিক্ষা ফিরে পাওয়ার লড়াই: এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজিতে অকৃতকার্য দেলোয়ার হোসেন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ৫৭২ বার পড়া হয়েছে

৩৫ বছর আগে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর পড়াশোনার পথ থেকে ছিটকে পড়েছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার দেলোয়ার হোসেন দুলু। তবে শিক্ষার প্রতি অটল আগ্রহ ও উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন তাকে আবারও কলম ধরতে বাধ্য করেছে। বয়স ৫২ হলেও দেলোয়ার অংশ নেন চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। তবে ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় এবারও কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে পারেননি তিনি।

বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেনের শিক্ষাজীবনের শুরুটা ছিল উজ্জ্বল। ১৯৮৫ সালে প্রাথমিক বৃত্তি এবং ১৯৮৮ সালে জুনিয়র বৃত্তি অর্জনের পর বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করছিলেন তিনি। কিন্তু ১৯৯০ সালে এক পরীক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বহিষ্কৃত হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ক্ষোভে পড়াশোনা ছেড়ে দেন।

তবে কয়েক দশক পর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আবারও উপলব্ধি করেন শিক্ষার গুরুত্ব। সন্তানদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিতে গিয়ে নিজের মধ্যে চেপে রাখা শিক্ষার আকাঙ্ক্ষা আবার জেগে ওঠে। সবার অগোচরে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন দেলোয়ার এবং রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার উমরগাড়ি দারুল খায়ের সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

দেলোয়ার বলেন, “ছোটবেলায় আমার স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষিত হওয়া। কিন্তু একটা ঘটনার কারণে স্বপ্ন থেমে গিয়েছিল। আবার সেই স্বপ্নকে জীবন্ত করতে চেয়েছি। সমাজের কটু কথা আমলে নেইনি। এবার ইংরেজিতে পাস করতে পারিনি, তবে হাল ছাড়ছি না। আগামী বছর আবার পরীক্ষা দেবো।”

জনপ্রিয় সংবাদ

৩৫ বছর পর শিক্ষা ফিরে পাওয়ার লড়াই: এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজিতে অকৃতকার্য দেলোয়ার হোসেন

আপডেট সময় ০৮:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

৩৫ বছর আগে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর পড়াশোনার পথ থেকে ছিটকে পড়েছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার দেলোয়ার হোসেন দুলু। তবে শিক্ষার প্রতি অটল আগ্রহ ও উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন তাকে আবারও কলম ধরতে বাধ্য করেছে। বয়স ৫২ হলেও দেলোয়ার অংশ নেন চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। তবে ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় এবারও কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে পারেননি তিনি।

বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেনের শিক্ষাজীবনের শুরুটা ছিল উজ্জ্বল। ১৯৮৫ সালে প্রাথমিক বৃত্তি এবং ১৯৮৮ সালে জুনিয়র বৃত্তি অর্জনের পর বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করছিলেন তিনি। কিন্তু ১৯৯০ সালে এক পরীক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বহিষ্কৃত হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ক্ষোভে পড়াশোনা ছেড়ে দেন।

তবে কয়েক দশক পর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আবারও উপলব্ধি করেন শিক্ষার গুরুত্ব। সন্তানদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিতে গিয়ে নিজের মধ্যে চেপে রাখা শিক্ষার আকাঙ্ক্ষা আবার জেগে ওঠে। সবার অগোচরে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন দেলোয়ার এবং রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার উমরগাড়ি দারুল খায়ের সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

দেলোয়ার বলেন, “ছোটবেলায় আমার স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষিত হওয়া। কিন্তু একটা ঘটনার কারণে স্বপ্ন থেমে গিয়েছিল। আবার সেই স্বপ্নকে জীবন্ত করতে চেয়েছি। সমাজের কটু কথা আমলে নেইনি। এবার ইংরেজিতে পাস করতে পারিনি, তবে হাল ছাড়ছি না। আগামী বছর আবার পরীক্ষা দেবো।”