ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া কে এই মেজর সাদেক?

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৭৯২ বার পড়া হয়েছে

“দেশজুড়ে নাশকতার ছক আওয়ামী লীগের” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেদনটি গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত হয় দৈনিক আমার দেশ-এ। তার পর থেকেই ঘটনার সত্যতা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে এবং ফলস্বরূপ একে একে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘কর্মশালা’র নামে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ চলছিল বলে অভিযোগ উঠে। এতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় ৪০০ জন ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নাশকতার এই প্রশিক্ষণের মূল সংগঠক হিসেবে উঠে এসেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর সাদেকুল হক সাদেকের নাম। কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত এই কর্মকর্তা সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শুক্রবার (১ আগস্ট) আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে গত ১৭ জুলাই ওই কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়।”

আইএসপিআর আরও জানায়, “ঘটনার তদন্তে একটি আদালত গঠন করা হয়েছে এবং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মেজর সাদেক তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দলীয় ক্যাডারদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন।

অভিযোগ আরও রয়েছে, সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনা তদারকি করা হচ্ছে কলকাতা থেকে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তার সঙ্গে আছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এছাড়া দিল্লি থেকে কৌশলগত সহায়তা দিচ্ছেন পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাহসী সাংবাদিকতার অভাব: মাহমুদুর রহমানকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করলেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল

আ.লীগ ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া কে এই মেজর সাদেক?

আপডেট সময় ১১:৫৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

“দেশজুড়ে নাশকতার ছক আওয়ামী লীগের” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেদনটি গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত হয় দৈনিক আমার দেশ-এ। তার পর থেকেই ঘটনার সত্যতা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে এবং ফলস্বরূপ একে একে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘কর্মশালা’র নামে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ চলছিল বলে অভিযোগ উঠে। এতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় ৪০০ জন ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নাশকতার এই প্রশিক্ষণের মূল সংগঠক হিসেবে উঠে এসেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর সাদেকুল হক সাদেকের নাম। কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত এই কর্মকর্তা সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শুক্রবার (১ আগস্ট) আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে গত ১৭ জুলাই ওই কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়।”

আইএসপিআর আরও জানায়, “ঘটনার তদন্তে একটি আদালত গঠন করা হয়েছে এবং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মেজর সাদেক তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দলীয় ক্যাডারদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন।

অভিযোগ আরও রয়েছে, সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনা তদারকি করা হচ্ছে কলকাতা থেকে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তার সঙ্গে আছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এছাড়া দিল্লি থেকে কৌশলগত সহায়তা দিচ্ছেন পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান।