জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (BG-433) তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর সোজা চলে যান ইনানীর পাঁচ তারকা সি-পার্ল রিসোর্টে।
এনসিপির এই সফরে রয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং তার স্বামী ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ। হোটেল কর্তৃপক্ষ ও জেলা পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁরা দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে হোটেলে প্রবেশ করেন এবং তিনটি কক্ষে অবস্থান করছেন।
এই সফর ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। বিশেষ করে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের গোপন বৈঠকের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিএনপি। ফলে হোটেলের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির কক্সবাজার জেলা সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী এই সফরকে “সন্দেহজনক” আখ্যা দিয়ে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান দিবসে হঠাৎ করে এনসিপি নেতাদের এই আগমন এবং শহর থেকে দূরের রিসোর্টে অবস্থান করা কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, পিটার হাসের উপস্থিতির খবর শুনে সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে, যদিও বিষয়টি যাচাই করছেন বলে জানান তিনি।
তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফুদ্দীন শাহীন নিশ্চিত করেছেন, এনসিপি নেতাদের সঙ্গে পিটার হাস বা কোনো বিদেশি বৈঠক হয়নি। হোটেলে থাকা তিন চায়না নাগরিক ছাড়া অন্য কোনো কূটনীতিক নেই বলে জানান তিনি। হোটেল কর্তৃপক্ষও একই ধরনের তথ্য দিয়েছে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী অবশ্য সাংবাদিকদের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাঁরা এখানে শুধু বেড়াতে এসেছেন, কোনো গোপন বৈঠক হয়নি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এনসিপি নেতারা ইনানীর সী-পার্ল হোটেলেই অবস্থান করছিলেন।