ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন বিশ্বাসঘাতকতা হবে: জামায়াত নেতাদের হুঁশিয়ারি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৪৮ বার পড়া হয়েছে

সংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের কোনো ঘোষণা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জাতি ক্ষমা করবে না।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার পৃথক গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

মহাখালীতে মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত সমাবেশে ড. তাহের বলেন,

“গতানুগতিক নির্বাচনী পদ্ধতি দেশের জন্য কখনো সুফল আনেনি। পিআর পদ্ধতি ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। পিআর পদ্ধতি চালু হলে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, টাকার খেলা বন্ধ হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন,

“যাদের জনসমর্থন নেই তারাই পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। তারা মাস্তানি আর টাকার জোরে নির্বাচন পার করতে চায়।”

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াত নেতা বলেন,

“আপনার পরিবার এই আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তাই বলছি— আগে রাষ্ট্রীয় সংস্কার করুন, তারপর নির্বাচন দিন। না হলে তা হবে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”

পল্টনে দক্ষিণ জামায়াতের গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন,

“ফেব্রুয়ারি হোক বা জুন—নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার করতে হবে। জামায়াত সব সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করলেও, একটি দল রাষ্ট্রকে নিজের সম্পত্তি মনে করে।”

তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আরও বলেন,

“তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায়। কিন্তু এই জাতি আর কোনো ফ্যাসিবাদ চায় না। জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে।”

তিনি ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে গণভোটের পক্ষে মত দিয়ে বলেন,

“যেভাবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন, সেভাবেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব।”

  • মহানগর উত্তর জামায়াতের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। মিছিলটি শেষ হয় মগবাজার চৌরাস্তায়।

  • মহানগর দক্ষিণের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নূরুল ইসলাম বুলবুল। মিছিলটি শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।

দুই শাখার মিছিল থেকে মূলত পিআর পদ্ধতির দাবি, নির্বাচনপূর্ব সংস্কার এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন—এই তিনটি বার্তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনা দূতাবাসে এনসিপি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বিদায়ী সংবর্ধনা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন বিশ্বাসঘাতকতা হবে: জামায়াত নেতাদের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ১১:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

সংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের কোনো ঘোষণা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জাতি ক্ষমা করবে না।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার পৃথক গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

মহাখালীতে মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত সমাবেশে ড. তাহের বলেন,

“গতানুগতিক নির্বাচনী পদ্ধতি দেশের জন্য কখনো সুফল আনেনি। পিআর পদ্ধতি ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। পিআর পদ্ধতি চালু হলে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, টাকার খেলা বন্ধ হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন,

“যাদের জনসমর্থন নেই তারাই পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। তারা মাস্তানি আর টাকার জোরে নির্বাচন পার করতে চায়।”

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে জামায়াত নেতা বলেন,

“আপনার পরিবার এই আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তাই বলছি— আগে রাষ্ট্রীয় সংস্কার করুন, তারপর নির্বাচন দিন। না হলে তা হবে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”

পল্টনে দক্ষিণ জামায়াতের গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন,

“ফেব্রুয়ারি হোক বা জুন—নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার করতে হবে। জামায়াত সব সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করলেও, একটি দল রাষ্ট্রকে নিজের সম্পত্তি মনে করে।”

তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আরও বলেন,

“তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায়। কিন্তু এই জাতি আর কোনো ফ্যাসিবাদ চায় না। জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে।”

তিনি ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে গণভোটের পক্ষে মত দিয়ে বলেন,

“যেভাবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন, সেভাবেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব।”

  • মহানগর উত্তর জামায়াতের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। মিছিলটি শেষ হয় মগবাজার চৌরাস্তায়।

  • মহানগর দক্ষিণের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নূরুল ইসলাম বুলবুল। মিছিলটি শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।

দুই শাখার মিছিল থেকে মূলত পিআর পদ্ধতির দাবি, নির্বাচনপূর্ব সংস্কার এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন—এই তিনটি বার্তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়।