ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে বিএনপির মিছিলে না যাওয়ায় জামায়াত কর্মীকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:০৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৪৮ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির মিছিলে অংশ না নেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত ওই জামায়াত কর্মীর নাম ফারুক হাওলাদার। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের আয়নাবাজ গ্রামে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক জানান, বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিলেন কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি জসিম পঞ্চায়েত। তবে তিনি জামায়াতের রাজনীতিতেই সক্রিয় থেকে সম্প্রতি ঢাকায় জাতীয় সমাবেশে অংশ নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন জসিম।

ফারুকের অভিযোগ, ৫ আগস্ট বাউফলে জামায়াতের আনন্দ মিছিলে অংশ নেওয়ার পরদিন সকালে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। তাকে গোপনাঙ্গে লাথি মেরে হুমকি দেওয়া হয়— “আজকের মধ্যে কালাইয়া ছেড়ে না গেলে মেরে ফেলা হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এলাকায় জামায়াতের দাওয়াতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে যুবদল নেতা জসিম ও তার অনুসারীরা নিয়মিতভাবে বাধা দিচ্ছে।

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা জসিম পঞ্চায়েত বলেন, এটি একটি জমি-সংক্রান্ত বিরোধ। সালিশের অধীন একটি জমিতে ফারুক চাষাবাদ করছিলেন, যা নিয়ে কিছু উচ্চবাচ্য হলেও তিনি ফারুককে মারধর করেননি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, চায়ের দোকানে কথাকাটাকাটির জেরে ফারুককে লাথি ও ঘুসি মারার ঘটনা শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানে ফের প্রকাশ্যে ফাঁসি

বাউফলে বিএনপির মিছিলে না যাওয়ায় জামায়াত কর্মীকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:০৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির মিছিলে অংশ না নেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত ওই জামায়াত কর্মীর নাম ফারুক হাওলাদার। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের আয়নাবাজ গ্রামে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক জানান, বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিলেন কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি জসিম পঞ্চায়েত। তবে তিনি জামায়াতের রাজনীতিতেই সক্রিয় থেকে সম্প্রতি ঢাকায় জাতীয় সমাবেশে অংশ নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন জসিম।

ফারুকের অভিযোগ, ৫ আগস্ট বাউফলে জামায়াতের আনন্দ মিছিলে অংশ নেওয়ার পরদিন সকালে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। তাকে গোপনাঙ্গে লাথি মেরে হুমকি দেওয়া হয়— “আজকের মধ্যে কালাইয়া ছেড়ে না গেলে মেরে ফেলা হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এলাকায় জামায়াতের দাওয়াতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে যুবদল নেতা জসিম ও তার অনুসারীরা নিয়মিতভাবে বাধা দিচ্ছে।

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা জসিম পঞ্চায়েত বলেন, এটি একটি জমি-সংক্রান্ত বিরোধ। সালিশের অধীন একটি জমিতে ফারুক চাষাবাদ করছিলেন, যা নিয়ে কিছু উচ্চবাচ্য হলেও তিনি ফারুককে মারধর করেননি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, চায়ের দোকানে কথাকাটাকাটির জেরে ফারুককে লাথি ও ঘুসি মারার ঘটনা শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।