ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহবাগে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত বহুজন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:০৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৯৮ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে এ সংঘর্ষে শিক্ষার্থী ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম সাংবাদিকদের জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ ধরনের অস্ত্র ছিল। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

ডিসি মাসুদ বলেন, শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ মোড় শিক্ষার্থীরা অবরোধ করলে মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ হয়েও পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সরিয়ে দেয়নি। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলে এবং একটি প্রজ্ঞাপনও জারি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলাপ করে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা অবস্থানের কথা বলা হয়েছিল।

তবে তিনি অভিযোগ করেন, হঠাৎ করে শিক্ষার্থীরা যমুনা ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড়ের দিকে ছুটে গিয়ে ব্যারিকেড ভাঙে এবং সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে এগিয়ে যায়। পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে ঠেলে সরানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় জলকামান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করা হয়।

ডিসি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রচুর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। অনেক শিক্ষার্থীও আহত হয়েছেন। তবে সঠিক সংখ্যাটি জানা যায়নি—কেউ হাসপাতালে গেছেন, আবার কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই চলে গেছেন।

তিনি নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন,

“আন্দোলনকারীরা যদি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে চলে যায়, তখন পুলিশের আর কিছু করার থাকে না। রাষ্ট্র তখন বলবে—যদি নিরাপত্তা দিতে না পারো, তবে চাকরি করার দরকার নেই।”

ফ্যাসিবাদবিরোধী আসিফ মাহমুদও এখন ফ্যাসিস্ট-লুটপাটকারী: তারেক রহমান

শাহবাগে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত বহুজন

আপডেট সময় ০৮:০৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে এ সংঘর্ষে শিক্ষার্থী ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম সাংবাদিকদের জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে ‘হেক্সা চাকু’ ধরনের অস্ত্র ছিল। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

ডিসি মাসুদ বলেন, শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ মোড় শিক্ষার্থীরা অবরোধ করলে মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ হয়েও পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সরিয়ে দেয়নি। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলে এবং একটি প্রজ্ঞাপনও জারি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলাপ করে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা অবস্থানের কথা বলা হয়েছিল।

তবে তিনি অভিযোগ করেন, হঠাৎ করে শিক্ষার্থীরা যমুনা ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড়ের দিকে ছুটে গিয়ে ব্যারিকেড ভাঙে এবং সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে এগিয়ে যায়। পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে ঠেলে সরানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় জলকামান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করা হয়।

ডিসি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রচুর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। অনেক শিক্ষার্থীও আহত হয়েছেন। তবে সঠিক সংখ্যাটি জানা যায়নি—কেউ হাসপাতালে গেছেন, আবার কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই চলে গেছেন।

তিনি নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন,

“আন্দোলনকারীরা যদি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে চলে যায়, তখন পুলিশের আর কিছু করার থাকে না। রাষ্ট্র তখন বলবে—যদি নিরাপত্তা দিতে না পারো, তবে চাকরি করার দরকার নেই।”