ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেন আ’লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:০০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

ভোলার মনপুরা উপজেলায় এতিমদের নামে সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মনপুরা উপজেলা আওয়ামিলীগ এর ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও মনপুরা উপজেলার হেফাজতে ইসলামে আমির মাওলানার মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরাদ্দ থেকে ভূয়া এতিম, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া পথশিশুদের নাম দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতি বছর আত্মসাৎ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। ১৯৯৩ সাল থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তর মনপুরা শিশু সদন এতিমখানার নামে অর্থ বরাদ্দ করে আসছে। এ বরাদ্দকৃত টাকা বিভিন্ন কলা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন মনপুরা শিশু সদন এতিমখানার পরিচালক মাওলানা মফিজুল ইসলাম। এ অর্থ নিতে তিনি ব্যাপক মিথ্যা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। সরোজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় এক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করেন হাজীরহাট হোসানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোসলেউদ্দিন, হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগম এবং ফকিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারি। মাওলানা মফিজুল ইসলাম হাজীরহাট হোসানিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ভুয়া ভর্তি দেখিয়েছে ১৪৯ জন ভূয়া এতিম, অসহায় শিক্ষার্থী, ফকিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ জন ভূয়া এতিম, অসহায় শিক্ষার্থী, হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৪ জন ভূয়া এতিম, অসহায় শিক্ষার্থী দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ এর প্রমাণ মিলেছে।

বিগত বছর গুলোতে এভাবে ভূয়া শিক্ষর্থী দেখিয়ে এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।
২০২৪-২০২৫ অর্থ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে মনপুরা শিশু সদন এতিমখানার ১৮৫ জনের নামে ৪৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সরোজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায় ১৮৫ জন এতিম, অসহায় এবং সুবিধাবঞ্চিতদের কপালে মিলে দুপুরের খাবারের জন্য ৩ কেজির বয়লার মুরগী আর ১০ কেজি আলু। আর রাতের খাবারের জন্য ৩ কেজি আর কিছু সবজি দিয়ে চলবে রাতের খাবার।

টাকা আত্মসাৎ এর সহায়তার ব্যপারে হাজীরহাট হোসানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোসলেউদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

টাকা আত্মসাৎ এর সহায়তার ব্যপারে হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় মফিজ মাওলানা আমার কাছে এসে বলেন আমাদের এতিম খানা কিছু ছেলে আপনার স্কুলে পড়ে তাদের নাম সহ তালিকা এনেছি আপনি স্বাক্ষর করে দিলে তাদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা হতো। আমি স্মরল মনে তার তৈরী করা প্যাডে স্বাক্ষর করেছি। তবে এটা আমার ভুল আমি যাচাই-বাছাই ছাড়া সাক্ষর দিয়েছি এবং তারিখ উল্লেখ করি নি। করনাকালীন সময়ে আমার পুরো বিদ্যালয়ে ২০ জনের মত শিশু সেখানে খাবার খেতো।’

টাকা আত্মসাৎ এর সহায়তার ব্যপারে ফকিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,
‘করোনাকালীন সময় মফিজ মাওলানার সাথে উপজেলা একটি মিটিংয়ে দেখা হয় তখন সে আমাকে বলেন আমাদের এতিম খানা মাদ্রাসা চালাইতে অনেক কষ্ট বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে চালাইতে হয় আমি একটা তালিকা করি সে তালিকা আপনার একটা স্বাক্ষর দিলে আমরা কিছু অনুদান পাব। তিনি আরো বলেন মফিজ মাওলানা আমাকে ধর্মীয়ভাবে ব্ল্যাকমেইল করছে এটা একটা প্রকার প্রতারণা করেছেন। আমি ওনাকে কোন তালিকা দেই নাই এবং উনার কোন শিক্ষার্থী আমার স্কুলে ভর্তি নেই। আমার কোন শিক্ষার্থীর সেখানে পড়ো না বা ওনার কোন শিক্ষার্থী আমার এখানে পড়ে না আর আমার কোন শিক্ষার্থী মনপুরা শিশু সদন এতিমখানা থেকে কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেনি। তবে এটা আমার ভুল যে আমি স্বাক্ষর করেছি।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনুদান তালিকায় থাকা বহু নামের শিক্ষার্থীদের পিতাকে মৃত দেখানো হয়েছে। কেউ কেউ আবার বহুদিন আগে অন্যত্র চলে গেছেন। তবুও তাদের নামে সরকারি বরাদ্দ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেই অর্থ এতিম ও অসহায় শিশুদের কল্যাণে ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন। অনেকের পরিবার রয়েছে তার তাদের বাড়ি থেকে খাবার এনে মাদ্রাসায় খায়। আবার অনেকের বাড়ি বিভিন্ন জায়গায় থাকায় তারা টাকার বিনিময়ে সেখানে থাকা খাওয়া করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিফজ খানার এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘উপর থেকে স্যারেরা আসলে আমাদেরকে বড় হুজুর (মাওলানা মফিজুল ইসলাম) শিখিয়ে দেয় তোমাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করে তোমার বাবা আছে, তাহলে বলবা না বাবা নাই, অথবা বলবে বাবা খোজখবর নেয়না।’ (যদি কেউ ভুলে সত্য বলে দেয় তাহলে তাকে অনেক মারে।)

এ বিষয়ে মফিজ মাওলানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যপারে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং তিনি গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ করেন। তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সাংবাদিকদের ক্যামেরায় হাত দিয়ে ভিডিও ধারণে বাধা প্রদান করেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন ‘মনপুরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মামুন সাহেব বলেছেন কোন সাংবাদিককে বক্তব্য দিবেন না তাদেরকে বলবেন আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য।’

মনপুরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মামুন হোসেনের কাছে মফিজ মাওলানার বক্তব্যের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মফিজ মাওলানা কেন বক্তব্য দিবেন না? বক্তব্য তো ওনারই দেয়ার কথা। শিশু সদন এতিমখানাটি তদন্ত করেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি গত ছয় মাসে দুই বার তদন্ত করেছি সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী পেয়েছি। কোন ধরনের ত্রুটির পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি আরও বলেন আপনারা রিপোর্ট করেন আমরা ইউএন স্যারের সাথে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ আসলে একটি তদন্ত কমিট গঠন করেছি তারা প্রতিবেদন দাখিল করলে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল বলছে, এতিমদের হক নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেন আ’লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক

আপডেট সময় ০৭:০০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোলার মনপুরা উপজেলায় এতিমদের নামে সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মনপুরা উপজেলা আওয়ামিলীগ এর ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও মনপুরা উপজেলার হেফাজতে ইসলামে আমির মাওলানার মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরাদ্দ থেকে ভূয়া এতিম, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া পথশিশুদের নাম দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতি বছর আত্মসাৎ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। ১৯৯৩ সাল থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তর মনপুরা শিশু সদন এতিমখানার নামে অর্থ বরাদ্দ করে আসছে। এ বরাদ্দকৃত টাকা বিভিন্ন কলা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন মনপুরা শিশু সদন এতিমখানার পরিচালক মাওলানা মফিজুল ইসলাম। এ অর্থ নিতে তিনি ব্যাপক মিথ্যা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। সরোজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় এক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করেন হাজীরহাট হোসানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোসলেউদ্দিন, হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগম এবং ফকিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারি। মাওলানা মফিজুল ইসলাম হাজীরহাট হোসানিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ভুয়া ভর্তি দেখিয়েছে ১৪৯ জন ভূয়া এতিম, অসহায় শিক্ষার্থী, ফকিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ জন ভূয়া এতিম, অসহায় শিক্ষার্থী, হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৪ জন ভূয়া এতিম, অসহায় শিক্ষার্থী দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ এর প্রমাণ মিলেছে।

বিগত বছর গুলোতে এভাবে ভূয়া শিক্ষর্থী দেখিয়ে এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।
২০২৪-২০২৫ অর্থ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে মনপুরা শিশু সদন এতিমখানার ১৮৫ জনের নামে ৪৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সরোজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায় ১৮৫ জন এতিম, অসহায় এবং সুবিধাবঞ্চিতদের কপালে মিলে দুপুরের খাবারের জন্য ৩ কেজির বয়লার মুরগী আর ১০ কেজি আলু। আর রাতের খাবারের জন্য ৩ কেজি আর কিছু সবজি দিয়ে চলবে রাতের খাবার।

টাকা আত্মসাৎ এর সহায়তার ব্যপারে হাজীরহাট হোসানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোসলেউদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

টাকা আত্মসাৎ এর সহায়তার ব্যপারে হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় মফিজ মাওলানা আমার কাছে এসে বলেন আমাদের এতিম খানা কিছু ছেলে আপনার স্কুলে পড়ে তাদের নাম সহ তালিকা এনেছি আপনি স্বাক্ষর করে দিলে তাদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা হতো। আমি স্মরল মনে তার তৈরী করা প্যাডে স্বাক্ষর করেছি। তবে এটা আমার ভুল আমি যাচাই-বাছাই ছাড়া সাক্ষর দিয়েছি এবং তারিখ উল্লেখ করি নি। করনাকালীন সময়ে আমার পুরো বিদ্যালয়ে ২০ জনের মত শিশু সেখানে খাবার খেতো।’

টাকা আত্মসাৎ এর সহায়তার ব্যপারে ফকিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,
‘করোনাকালীন সময় মফিজ মাওলানার সাথে উপজেলা একটি মিটিংয়ে দেখা হয় তখন সে আমাকে বলেন আমাদের এতিম খানা মাদ্রাসা চালাইতে অনেক কষ্ট বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে চালাইতে হয় আমি একটা তালিকা করি সে তালিকা আপনার একটা স্বাক্ষর দিলে আমরা কিছু অনুদান পাব। তিনি আরো বলেন মফিজ মাওলানা আমাকে ধর্মীয়ভাবে ব্ল্যাকমেইল করছে এটা একটা প্রকার প্রতারণা করেছেন। আমি ওনাকে কোন তালিকা দেই নাই এবং উনার কোন শিক্ষার্থী আমার স্কুলে ভর্তি নেই। আমার কোন শিক্ষার্থীর সেখানে পড়ো না বা ওনার কোন শিক্ষার্থী আমার এখানে পড়ে না আর আমার কোন শিক্ষার্থী মনপুরা শিশু সদন এতিমখানা থেকে কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেনি। তবে এটা আমার ভুল যে আমি স্বাক্ষর করেছি।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনুদান তালিকায় থাকা বহু নামের শিক্ষার্থীদের পিতাকে মৃত দেখানো হয়েছে। কেউ কেউ আবার বহুদিন আগে অন্যত্র চলে গেছেন। তবুও তাদের নামে সরকারি বরাদ্দ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেই অর্থ এতিম ও অসহায় শিশুদের কল্যাণে ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন। অনেকের পরিবার রয়েছে তার তাদের বাড়ি থেকে খাবার এনে মাদ্রাসায় খায়। আবার অনেকের বাড়ি বিভিন্ন জায়গায় থাকায় তারা টাকার বিনিময়ে সেখানে থাকা খাওয়া করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিফজ খানার এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘উপর থেকে স্যারেরা আসলে আমাদেরকে বড় হুজুর (মাওলানা মফিজুল ইসলাম) শিখিয়ে দেয় তোমাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করে তোমার বাবা আছে, তাহলে বলবা না বাবা নাই, অথবা বলবে বাবা খোজখবর নেয়না।’ (যদি কেউ ভুলে সত্য বলে দেয় তাহলে তাকে অনেক মারে।)

এ বিষয়ে মফিজ মাওলানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যপারে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং তিনি গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ করেন। তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সাংবাদিকদের ক্যামেরায় হাত দিয়ে ভিডিও ধারণে বাধা প্রদান করেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন ‘মনপুরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মামুন সাহেব বলেছেন কোন সাংবাদিককে বক্তব্য দিবেন না তাদেরকে বলবেন আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য।’

মনপুরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মামুন হোসেনের কাছে মফিজ মাওলানার বক্তব্যের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মফিজ মাওলানা কেন বক্তব্য দিবেন না? বক্তব্য তো ওনারই দেয়ার কথা। শিশু সদন এতিমখানাটি তদন্ত করেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি গত ছয় মাসে দুই বার তদন্ত করেছি সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী পেয়েছি। কোন ধরনের ত্রুটির পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি আরও বলেন আপনারা রিপোর্ট করেন আমরা ইউএন স্যারের সাথে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ আসলে একটি তদন্ত কমিট গঠন করেছি তারা প্রতিবেদন দাখিল করলে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল বলছে, এতিমদের হক নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।