ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“দল থেকে শোকজে হতবাক, শেষ নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধা এড. ফজলুর রহমানের”

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. ফজলুর রহমান বলেছেন, দলের জন্য সারাজীবন কাজ করার পরও তাকে শোকজ করা হয়েছে, যা তিনি কখনো ভাবতে পারেননি। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ইটনা সদরে তার সমর্থনে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কূরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও ধর্মবিরোধিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি জবাব দিয়েছি, কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি। তিন মাসের জন্য সব পদ স্থগিত করা হলো। আমি বুঝলাম না আমার অপরাধ কী। তারপরও দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।”

তিনি আরও জানান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা হলে তিনি প্রতিবাদ করেন। “রাজাকার ও আলবদরের বংশধর যারা মুক্তিযুদ্ধ মানে না, তাদের পাকিস্তানে ফিরে যেতে হবে”— এমন কড়া অবস্থান ব্যক্ত করেন তিনি।

জামায়াতের ধর্মবিরোধী অভিযোগের জবাবে ফজলুর রহমান বলেন, তিনি সুফিবাদে বিশ্বাসী এবং হযরত শাহজালাল, শাহ পরানসহ মহান সুফিদের আদর্শ অনুসরণ করেন। তবে জামায়াত এ ধারার অনুসারীদের হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমার বয়স ৭৮। আগামী নির্বাচন হবে আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। আপনাদের সমর্থন পেলে আমি এই নির্বাচন করতে চাই।” তিনি দাবি করেন, তাকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করতে বিরোধীরা ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারে।

সমাবেশে হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে ইটনা সদরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শত শত নৌকার বহরে মিছিল বের হয়ে কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক উপস্থিতি এদিন বিশেষভাবে নজর কাড়ে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশন আলী রুশো। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, নীহারেন্দু দেবনাথ, নবী হোসেন তজু মিয়া এবং ফজলুর রহমানের স্ত্রী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, ছেলে ব্যারিস্টার অভীক রহমানসহ অনেকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

“দল থেকে শোকজে হতবাক, শেষ নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধা এড. ফজলুর রহমানের”

আপডেট সময় ১২:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. ফজলুর রহমান বলেছেন, দলের জন্য সারাজীবন কাজ করার পরও তাকে শোকজ করা হয়েছে, যা তিনি কখনো ভাবতে পারেননি। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ইটনা সদরে তার সমর্থনে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কূরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও ধর্মবিরোধিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি জবাব দিয়েছি, কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি। তিন মাসের জন্য সব পদ স্থগিত করা হলো। আমি বুঝলাম না আমার অপরাধ কী। তারপরও দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।”

তিনি আরও জানান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা হলে তিনি প্রতিবাদ করেন। “রাজাকার ও আলবদরের বংশধর যারা মুক্তিযুদ্ধ মানে না, তাদের পাকিস্তানে ফিরে যেতে হবে”— এমন কড়া অবস্থান ব্যক্ত করেন তিনি।

জামায়াতের ধর্মবিরোধী অভিযোগের জবাবে ফজলুর রহমান বলেন, তিনি সুফিবাদে বিশ্বাসী এবং হযরত শাহজালাল, শাহ পরানসহ মহান সুফিদের আদর্শ অনুসরণ করেন। তবে জামায়াত এ ধারার অনুসারীদের হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমার বয়স ৭৮। আগামী নির্বাচন হবে আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। আপনাদের সমর্থন পেলে আমি এই নির্বাচন করতে চাই।” তিনি দাবি করেন, তাকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করতে বিরোধীরা ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারে।

সমাবেশে হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে ইটনা সদরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শত শত নৌকার বহরে মিছিল বের হয়ে কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক উপস্থিতি এদিন বিশেষভাবে নজর কাড়ে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশন আলী রুশো। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, নীহারেন্দু দেবনাথ, নবী হোসেন তজু মিয়া এবং ফজলুর রহমানের স্ত্রী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, ছেলে ব্যারিস্টার অভীক রহমানসহ অনেকে।