বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, দেশে ১৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতপন্থী শিক্ষককে উপাচার্য (ভাইস—চ্যান্সেলর) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তার প্রভাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি জানান, এই ধরণের নিয়োগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কৌশলগত হস্তক্ষেপের কারণে নির্বাচনী পরিবেশ প্রভাবিত হয়েছে এবং গণতান্ত্রিক ইচ্ছার প্রতিফলন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলররা যদি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রশাসনিক ক্ষমতা ও সরকারি যোগসূত্র ব্যবহার করে নির্বাচন পরিচালনা করেন, তাতে নির্বাচন একচেটিয়াভাবে ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে ফল প্রভাবিত করা যায় — যা সম্প্রতি ঢাবি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গিয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে “বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো কক্ষ” বিবেচনা করা উচিত নয়; প্রাক্তন ছাত্র-অ্যালামনাই ও সামগ্রিক সামাজিক প্রবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে প্রভাবশালী হওয়া স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন।
রিজভী এই অভিযোগগুলোর প্রসঙ্গে সতর্ক করে বলেছেন, যদি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ বা জালিয়াতি করা হয়, তা ধরা পরে—which, তাঁর বক্তব্যে, আগামী সময়ে প্রকাশ পেতে পারে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়-নির্বাচনকে উৎসবঘটিত ও মুক্তিযুদ্ধপরম্পরার অংশ হিসেবে রাখতে হবে; প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ সেই আত্মার পরিপন্থী।