ঢাকা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনা হয়েছে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:২৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৮ বার পড়া হয়েছে

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন। রোববার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে বিকেল চারটা বাইশ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পঁয়ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরী, সচিব নাসিমুল গণি এবং পুলিশের আইজি বাহরুল আলম উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বাবরের সঙ্গে ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব কামরুজ্জামান এবং সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান।

বৈঠক শেষে বাবর সাংবাদিকদের বলেন, সাড়ে সতের বছর পর মহান আল্লাহর রহমতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বিএনপি সম্প্রতি একটি টিম গঠন করেছে, যেখানে তিনি নিজে ছাড়াও সাবেক সিনিয়র সচিব কামরুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান রয়েছেন। তারা সরকারের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে বিভিন্ন উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরেছেন। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করেছেন বলে দাবি করেন তিনি এবং বলেন, এর উদ্দেশ্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করা ও দেশে সংঘাত সৃষ্টি করা। অবৈধ ও লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার এবং সরাসরি এএসআই নিয়োগ নিয়ে কনস্টেবলদের উদ্বেগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নে বাবর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। আর তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, তিনি শিগগিরই ফিরবেন, ইনশাআল্লাহ। এ সময় তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লে. জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বাবর তার পুরনো সহকর্মী হওয়ায় সৌজন্য সাক্ষাতেই এসেছিলেন। আলোচনায় পারিবারিক ও ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে, রাষ্ট্রীয় দু-একটি বিষয় এলেও তা তেমন গুরুতর ছিল না।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী আন্দোলন: পিআর পদ্ধতির নির্বাচন না হলে রাজপথে নামতে হবে

তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনা হয়েছে

আপডেট সময় ১২:২৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন। রোববার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে বিকেল চারটা বাইশ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পঁয়ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরী, সচিব নাসিমুল গণি এবং পুলিশের আইজি বাহরুল আলম উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বাবরের সঙ্গে ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব কামরুজ্জামান এবং সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান।

বৈঠক শেষে বাবর সাংবাদিকদের বলেন, সাড়ে সতের বছর পর মহান আল্লাহর রহমতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বিএনপি সম্প্রতি একটি টিম গঠন করেছে, যেখানে তিনি নিজে ছাড়াও সাবেক সিনিয়র সচিব কামরুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান রয়েছেন। তারা সরকারের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে বিভিন্ন উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরেছেন। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করেছেন বলে দাবি করেন তিনি এবং বলেন, এর উদ্দেশ্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করা ও দেশে সংঘাত সৃষ্টি করা। অবৈধ ও লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার এবং সরাসরি এএসআই নিয়োগ নিয়ে কনস্টেবলদের উদ্বেগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নে বাবর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। আর তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, তিনি শিগগিরই ফিরবেন, ইনশাআল্লাহ। এ সময় তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লে. জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বাবর তার পুরনো সহকর্মী হওয়ায় সৌজন্য সাক্ষাতেই এসেছিলেন। আলোচনায় পারিবারিক ও ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে, রাষ্ট্রীয় দু-একটি বিষয় এলেও তা তেমন গুরুতর ছিল না।