ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে বিএনপি কর্মীদের খাবার খাওয়া ও নষ্টের অভিযোগ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫১৮ বার পড়া হয়েছে

বরগুনার আমতলী উপজেলার ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয় এবং আমতলী সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. ফজলুল হককে সভাপতি করা হয়। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কমিটির প্রথম সভা উপলক্ষে প্রায় ৫০ জন অতিথির জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সভায় গুলিশাখালী ইউনিয়ন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাওয়াত না দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন।

অভিযোগ অনুযায়ী, গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী ও সাধারণ সম্পাদক রিপন কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতা-কর্মী মাদ্রাসায় এসে দাওয়াত না দেওয়ার কারণ জানতে চান। একপর্যায়ে তারা শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন এবং অতিথিদের জন্য রান্না করা সব খাবার খেয়ে ফেলেন। অবশিষ্ট খাবারে টিস্যু, উচ্ছিষ্ট ও নোংরা পানি ফেলে তা নষ্ট করে দেন। পরে শিক্ষক, কর্মচারী ও অতিথিদের হুমকি দিয়ে চলে যান।

ঘটনার পর রিপন কাজী তার ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় পিকনিকের কিছু স্মৃতি’। পোস্টটি ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় ওঠে। স্থানীয়রা জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী খাবার খাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, মাদ্রাসায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে এবং তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাই তারা খাবার খেয়েছেন, তবে কোনো খাবার নষ্ট করেননি।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধা এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ’ বলে উল্লেখ করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের শিশু তারকা আহমদ শাহর ছোট ভাই উমর শাহ আর নেই

আমতলীতে মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে বিএনপি কর্মীদের খাবার খাওয়া ও নষ্টের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বরগুনার আমতলী উপজেলার ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয় এবং আমতলী সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. ফজলুল হককে সভাপতি করা হয়। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কমিটির প্রথম সভা উপলক্ষে প্রায় ৫০ জন অতিথির জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সভায় গুলিশাখালী ইউনিয়ন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাওয়াত না দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন।

অভিযোগ অনুযায়ী, গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী ও সাধারণ সম্পাদক রিপন কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতা-কর্মী মাদ্রাসায় এসে দাওয়াত না দেওয়ার কারণ জানতে চান। একপর্যায়ে তারা শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন এবং অতিথিদের জন্য রান্না করা সব খাবার খেয়ে ফেলেন। অবশিষ্ট খাবারে টিস্যু, উচ্ছিষ্ট ও নোংরা পানি ফেলে তা নষ্ট করে দেন। পরে শিক্ষক, কর্মচারী ও অতিথিদের হুমকি দিয়ে চলে যান।

ঘটনার পর রিপন কাজী তার ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় পিকনিকের কিছু স্মৃতি’। পোস্টটি ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় ওঠে। স্থানীয়রা জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী খাবার খাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, মাদ্রাসায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে এবং তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাই তারা খাবার খেয়েছেন, তবে কোনো খাবার নষ্ট করেননি।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধা এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ’ বলে উল্লেখ করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।