দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে উত্তেজনা বাড়ছে, কারণ বড় রাজনৈতিক দলগুলো এখনও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে একমত হতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রাজপথে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেছে নিয়েছে। তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবির ভিত্তিতে নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলছেন, যা নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামরিক শাসনের সম্ভাবনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। সোমবার রাজধানীর বাংলা মোটরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক জাবেদ রাসিন জানান, “এনসিপি কোন জোট বা যুগপথ আন্দোলনে যাবে না। শুধুমাত্র উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির দাবি রাখছি। অবিলম্বে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।”
এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার সতর্ক করে বলেন, “সংবিধান নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে জরুরি পরিস্থিতি জারি করা হতে পারে।”
অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলো বিভাজিত হওয়ার কারণে পরিস্থিতি সংকটময়। বিদেশী এজেন্সি এই বিভাজনকে কাজে লাগাচ্ছে। দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বড় দলের দ্বন্দ্ব সামরিক শাসনসহ জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।