ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে মনোনয়নের নিশ্চয়তা চান বিএনপির নেতৃত্বাধীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলো। তারা চান, যাতে আগেভাগেই নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করে মাঠে নামতে পারেন এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের সহায়তা পেতে পারেন।
তবে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া এখনো পর্যন্ত জোট শরিকদের অধিকাংশকে মনোনয়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। যদিও বিএনপির অনুরোধে মিত্র দলগুলো ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থী তালিকা জমা দিয়েছে।
বিএনপি চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই ২০০ আসনে নিজ দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। পাশাপাশি শরিকদের আসন বণ্টনও এখন যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে। এ পর্যন্ত ১০৩ জন প্রার্থীর তালিকা জমা দিয়েছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলো। এর মধ্যে—
-
১২ দলীয় জোট ২১ জন,
-
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯ জন,
-
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ১৯ জন,
-
এলডিপি ১৩ জন,
-
গণফোরাম ১৬ জন,
-
এনডিএম ১০ জন,
-
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ৫ জন,
-
বাংলাদেশ লেবার পার্টি ৬ জন,
-
এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি) ৪ জনের তালিকা জমা দিয়েছে।
তালিকাগুলো বর্তমানে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে রয়েছে। তিনি প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও জয়ের সম্ভাবনা যাচাই করছেন। একই সঙ্গে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর খসড়াও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে, যেখানে বলা হয়েছে— “জোট প্রার্থী হলেও সবাইকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “মিত্রদের আসন বণ্টনের বিষয়টি এখন পর্যালোচনাধীন। সংশোধিত আরপিওর কারণে বিএনপিকে আরও চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি এবার প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০টি আসন জোট শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে বড় জোট গঠন সফল হলে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
অন্যদিকে, এখনো প্রার্থী তালিকা না দিলেও ছয় দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির আলোচনা চলছে। শিগগিরই গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে প্রায় ৫০ জন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে ৩০ জনের তালিকা জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, “বিএনপি যত দ্রুত জোটের প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করবে, ততই মাঠে সক্রিয় হওয়া সহজ হবে। এতে মিত্র দলগুলো নির্বাচনী প্রচারণায় পূর্ণ উদ্যমে অংশ নিতে পারবে।”





















