ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা মৃত লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৭২ বার পড়া হয়েছে

পল্টন ট্র্যাজেডির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নৃশংস ও ইতিহাসের নজিরবিহীন বর্বরোচিত হামলা হয়েছিল। সারা দেশ ও বিশ্ব সেদিন শিহরিত হয়েছিল। শেখ হাসিনা মৃত লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, শেষে তারা মৃত লাশ পুড়িয়ে ছাই করে ভারত পালিয়ে গেছেন। এই ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের জনগণ আর প্রশ্রয় দিতে পারে না।”

তিনি বলেন, “৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলায় যদি ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে ঘটে যাওয়া পল্টন হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন হবে না? শেখ হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের নেতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন মন্ত্রণালয়কে এই মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে এবং ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পুনরায় তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে।”

অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, “২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের রাজনীতি ফ্যাসিবাদের দিকে মোড় নেয়। এখন খুনি হাসিনা দিল্লি থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন। এই খুনিদের রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে।”

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট এবং অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু কিছু মহল একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের পাঁয়তারা করছে, যা জুলাই সনদকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র।”

তিনি আরও বলেন, “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই সনদ রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ঐতিহাসিক দিক নির্দেশনা দিয়েছে। তাই নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী আলাদা গণভোট দিন, তারপর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ওই দেশে গিয়ে হাদি হত্যার বদলা নেওয়া হবে: ইশরাক

শেখ হাসিনা মৃত লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন

আপডেট সময় ০৭:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

পল্টন ট্র্যাজেডির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নৃশংস ও ইতিহাসের নজিরবিহীন বর্বরোচিত হামলা হয়েছিল। সারা দেশ ও বিশ্ব সেদিন শিহরিত হয়েছিল। শেখ হাসিনা মৃত লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, শেষে তারা মৃত লাশ পুড়িয়ে ছাই করে ভারত পালিয়ে গেছেন। এই ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের জনগণ আর প্রশ্রয় দিতে পারে না।”

তিনি বলেন, “৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলায় যদি ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে ঘটে যাওয়া পল্টন হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন হবে না? শেখ হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের নেতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন মন্ত্রণালয়কে এই মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে এবং ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পুনরায় তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে।”

অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, “২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের রাজনীতি ফ্যাসিবাদের দিকে মোড় নেয়। এখন খুনি হাসিনা দিল্লি থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন। এই খুনিদের রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে।”

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট এবং অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু কিছু মহল একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের পাঁয়তারা করছে, যা জুলাই সনদকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র।”

তিনি আরও বলেন, “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই সনদ রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ঐতিহাসিক দিক নির্দেশনা দিয়েছে। তাই নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী আলাদা গণভোট দিন, তারপর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন।”