ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য ড. ইউনূস সস্তা নাটক করছেন” — রুমিন ফারহানা

ড. মোহাম্মদ ইউনূস জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য “সস্তা নাটক” করছেন—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুমিন বলেন, “ড. ইউনূস গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছেন, সেগুলো একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়—তিনি সরাসরি পদত্যাগের কথা বলেননি, তবে পরোক্ষভাবে তাঁর রাজনৈতিক দল এনসিপির মাধ্যমে তা প্রচার করিয়েছেন। এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান—ড. ইউনূস সরে দাঁড়াতে পারেন।”

তিনি বলেন, “এখানে কিছু বিষয় লক্ষণীয়। গণমাধ্যমের খবরে দেখেছি, বিএনপি চারবার প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াতও চেষ্টা করেছে, তারাও পারেনি। অথচ এনসিপি, যাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠতা আছে, তারা বৈঠক করেছে। শুধু নাহিদ ইসলামই নয়, সেখানে মাহফুজ, আসিফ এবং হাসনাত আবদুল্লাহও ছিলেন। তাঁরা সবাই উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।”

রুমিন অভিযোগ করেন, “গণমাধ্যমে যা আসে না, সেগুলোই আসলে বড় খবর। যারা মিটিংয়ে থাকে, তারাই ঠিক করে কোন খবর গণমাধ্যমে যাবে। হঠাৎ করে ড. ইউনূস কেন নাহিদের মাধ্যমে এসব কথা বলালেন? হতে পারে তিনি আবেগপ্রবণ একজন মানুষ, যিনি বারবার ব্যর্থ হয়ে হতাশায় বলেছেন ‘আমি থাকলাম না’। নয় মাসে তিনি সফলভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন—এটাও এক ধরনের যোগ্যতা। তিনি ও তাঁর উপদেষ্টা পরিষদ অত্যন্ত সফলভাবে অসফল হয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূস হয়তো গা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্ষেপিয়েছেন, তাঁর পোষ্য দল ছাড়া। দেশে প্রতিটি সেক্টরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। এমনকি তিনি সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত বিরূপ অবস্থানে নিয়ে গেছেন। কিছু যুবক, যারা আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, তারা সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেছে—এটা অকল্পনীয়।”

“বহু বছর ধরে রাজনীতিতে থাকা কোনো নেতা কখনো সেনাবাহিনী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে পারেন না। অথচ এই সরকারকে ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করেছে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধানও অনেক ধৈর্য ধরেছেন। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।” রুমিন বলেন, “এই সেনাপ্রধানের নিজস্ব ইমেজ, সম্মান রয়েছে। তাঁকে গত নয় মাসে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

সবশেষে তিনি বলেন, “ড. ইউনূস জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য একটি নাটক করেছেন—যেখানে তিনি আশা করেছিলেন, সবাই তাঁকে ফেরাতে ছুটে আসবে। বিএনপি বলবে, ‘না না, আপনি না থাকলে দেশটাই ডুবে যাবে’। বৃহস্পতিবার রাতের নাটক, আর শুক্রবার ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠরা বায়তুল মোকাররমে মিছিল করল। এটা একটা পরিকল্পিত রাজনৈতিক মঞ্চায়ন, যেখানে চেয়ার খালি করে দেখানো হয় যে চেয়ারটাই অনন্য। অথচ রাজনীতিতে চেয়ারের অভাব হয় না।”

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় নির্ধারণে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চরমোনাই পীরসহ ইসলামি জোটের শীর্ষ নেতারা

জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য ড. ইউনূস সস্তা নাটক করছেন” — রুমিন ফারহানা

আপডেট সময় ০৩:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ড. মোহাম্মদ ইউনূস জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য “সস্তা নাটক” করছেন—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুমিন বলেন, “ড. ইউনূস গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছেন, সেগুলো একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়—তিনি সরাসরি পদত্যাগের কথা বলেননি, তবে পরোক্ষভাবে তাঁর রাজনৈতিক দল এনসিপির মাধ্যমে তা প্রচার করিয়েছেন। এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান—ড. ইউনূস সরে দাঁড়াতে পারেন।”

তিনি বলেন, “এখানে কিছু বিষয় লক্ষণীয়। গণমাধ্যমের খবরে দেখেছি, বিএনপি চারবার প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াতও চেষ্টা করেছে, তারাও পারেনি। অথচ এনসিপি, যাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠতা আছে, তারা বৈঠক করেছে। শুধু নাহিদ ইসলামই নয়, সেখানে মাহফুজ, আসিফ এবং হাসনাত আবদুল্লাহও ছিলেন। তাঁরা সবাই উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।”

রুমিন অভিযোগ করেন, “গণমাধ্যমে যা আসে না, সেগুলোই আসলে বড় খবর। যারা মিটিংয়ে থাকে, তারাই ঠিক করে কোন খবর গণমাধ্যমে যাবে। হঠাৎ করে ড. ইউনূস কেন নাহিদের মাধ্যমে এসব কথা বলালেন? হতে পারে তিনি আবেগপ্রবণ একজন মানুষ, যিনি বারবার ব্যর্থ হয়ে হতাশায় বলেছেন ‘আমি থাকলাম না’। নয় মাসে তিনি সফলভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন—এটাও এক ধরনের যোগ্যতা। তিনি ও তাঁর উপদেষ্টা পরিষদ অত্যন্ত সফলভাবে অসফল হয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূস হয়তো গা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্ষেপিয়েছেন, তাঁর পোষ্য দল ছাড়া। দেশে প্রতিটি সেক্টরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। এমনকি তিনি সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত বিরূপ অবস্থানে নিয়ে গেছেন। কিছু যুবক, যারা আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, তারা সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেছে—এটা অকল্পনীয়।”

“বহু বছর ধরে রাজনীতিতে থাকা কোনো নেতা কখনো সেনাবাহিনী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে পারেন না। অথচ এই সরকারকে ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করেছে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধানও অনেক ধৈর্য ধরেছেন। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।” রুমিন বলেন, “এই সেনাপ্রধানের নিজস্ব ইমেজ, সম্মান রয়েছে। তাঁকে গত নয় মাসে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

সবশেষে তিনি বলেন, “ড. ইউনূস জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য একটি নাটক করেছেন—যেখানে তিনি আশা করেছিলেন, সবাই তাঁকে ফেরাতে ছুটে আসবে। বিএনপি বলবে, ‘না না, আপনি না থাকলে দেশটাই ডুবে যাবে’। বৃহস্পতিবার রাতের নাটক, আর শুক্রবার ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠরা বায়তুল মোকাররমে মিছিল করল। এটা একটা পরিকল্পিত রাজনৈতিক মঞ্চায়ন, যেখানে চেয়ার খালি করে দেখানো হয় যে চেয়ারটাই অনন্য। অথচ রাজনীতিতে চেয়ারের অভাব হয় না।”