ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কত সম্পদের মালিক তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান?

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০১:১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৬
  • ৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

কত সম্পদের মালিক তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান?

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) ও ঢাকা- ১৭ (গুলশান-বনানী-বারিধারা-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেজন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় নিজের আর্থিক অবস্থার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়েছেন তিনি।

তারেক রহমান হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তিনি দ্বৈত নাগরিক নন। তার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গুলশান এভিনিউয়ের এন ই-ডি-৩/বি নম্বর বাসা। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক। বয়স ৫৭ বছরের বেশি।

বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। ২০০৭ সাল থেকে ৭৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার কোনোটি থেকে খালাস, কোনটি প্রত্যাহার হয়েছে, কোনোটি খারিজ হয়েছে, কোনোটি থেকে অব্যহতি পেয়েছেন। পেশা হিসেবে রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। স্ত্রী জুবাইদা রহমান পেশায় চিকিৎসক। মেয়ে জাইমা জারনাজ রহমান ছাত্রী।

তারেক রহমানের বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক স্থান নেই। শেয়ার, বন্ড/সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত রয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ টাকা। ব্যাংকে ও নগদ মিলে আছে ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৮ টাকা, স্ত্রীর আছে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৭ টাকা।

স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত, তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানির অর্জনকালীন সময়ে শেয়ার আছে ৫ লাখ টাকার, কোম্পানি শেয়ার আছে ৪৫ লাখ টাকার, কোম্পানি আছে ১৮ লাখ টাকার।

তারেক রহমানের ব্যাংকে নিজ নামে ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৩০৭ টাকার এফডিআর ও অন্যান্য আমানত আছে এক লাখ ২০ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত আছে ১৫ হাজার ২৬০ টাকার।

অর্জনকালীন ২ হাজার ৯৫০ টাকা মূল্যের গহনা, ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকার আসবাব আছে। নেই কোনো আগ্নেয়ান্ত্র ও বিদেশে স্থারব-অস্থাবর সস্পদ।

এ ছাড়া নিজের কোনো কৃষি জমি নেই। নেই গাড়িও। তবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ অকৃষি জমি রয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। স্ত্রীর নামে ১১১ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি আছে। ৮০০ বর্গফুট দোতলা ভবন রয়েছে যৌথ মালিকানায়। ২ দশমিক ৯ শতাংশ জমির ওপর একটি ভবন রয়েছে, যা উপহার হিসেবে পাওয়া। নিজের নামে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-কন্যার নামে সরকারি কোনো ঋণ নেই।

আয়কর রিটার্নে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সম্পদ আছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ১৮৫ টাকার। বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ টাকা। আয়কর দিয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকা।

স্ত্রীর সম্পদ ১ কোটি ৫ লাখ ৩০ হাজার ১৯১ টাকার, তার বার্ষিক আয় ৩৫ লাখ ৬০ হাজার ৯২৫ টাকা। আর আয়কর দিয়েছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৩ টাকা।

উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

 

কত সম্পদের মালিক তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান?

কত সম্পদের মালিক তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান?

আপডেট সময় ০১:১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৬

কত সম্পদের মালিক তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান?

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) ও ঢাকা- ১৭ (গুলশান-বনানী-বারিধারা-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেজন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় নিজের আর্থিক অবস্থার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়েছেন তিনি।

তারেক রহমান হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তিনি দ্বৈত নাগরিক নন। তার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গুলশান এভিনিউয়ের এন ই-ডি-৩/বি নম্বর বাসা। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক। বয়স ৫৭ বছরের বেশি।

বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। ২০০৭ সাল থেকে ৭৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার কোনোটি থেকে খালাস, কোনটি প্রত্যাহার হয়েছে, কোনোটি খারিজ হয়েছে, কোনোটি থেকে অব্যহতি পেয়েছেন। পেশা হিসেবে রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। স্ত্রী জুবাইদা রহমান পেশায় চিকিৎসক। মেয়ে জাইমা জারনাজ রহমান ছাত্রী।

তারেক রহমানের বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক স্থান নেই। শেয়ার, বন্ড/সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত রয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ টাকা। ব্যাংকে ও নগদ মিলে আছে ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৮ টাকা, স্ত্রীর আছে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৭ টাকা।

স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত, তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানির অর্জনকালীন সময়ে শেয়ার আছে ৫ লাখ টাকার, কোম্পানি শেয়ার আছে ৪৫ লাখ টাকার, কোম্পানি আছে ১৮ লাখ টাকার।

তারেক রহমানের ব্যাংকে নিজ নামে ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৩০৭ টাকার এফডিআর ও অন্যান্য আমানত আছে এক লাখ ২০ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত আছে ১৫ হাজার ২৬০ টাকার।

অর্জনকালীন ২ হাজার ৯৫০ টাকা মূল্যের গহনা, ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকার আসবাব আছে। নেই কোনো আগ্নেয়ান্ত্র ও বিদেশে স্থারব-অস্থাবর সস্পদ।

এ ছাড়া নিজের কোনো কৃষি জমি নেই। নেই গাড়িও। তবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ অকৃষি জমি রয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। স্ত্রীর নামে ১১১ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি আছে। ৮০০ বর্গফুট দোতলা ভবন রয়েছে যৌথ মালিকানায়। ২ দশমিক ৯ শতাংশ জমির ওপর একটি ভবন রয়েছে, যা উপহার হিসেবে পাওয়া। নিজের নামে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-কন্যার নামে সরকারি কোনো ঋণ নেই।

আয়কর রিটার্নে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সম্পদ আছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ১৮৫ টাকার। বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ টাকা। আয়কর দিয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকা।

স্ত্রীর সম্পদ ১ কোটি ৫ লাখ ৩০ হাজার ১৯১ টাকার, তার বার্ষিক আয় ৩৫ লাখ ৬০ হাজার ৯২৫ টাকা। আর আয়কর দিয়েছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৩ টাকা।

উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।