ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস ও দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিখিত সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, “গণঅভ্যুত্থান সামলাতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিক থেকে ভুল অবশ্যই হয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট বর্জনের আহ্বান তিনি দেননি। হাসিনা বলেন, “স্পষ্ট করে বলছি—আমি বর্জনের আহ্বান জানাইনি। আমি যা বলতে চেয়েছি তা হলো, যদি আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে কোটি কোটি ভোটার ভোট দেবে না।”
শেখ হাসিনা বলেন, “যা-ই ঘটুক না কেন, আমাদের প্রচারণা শান্তিপূর্ণ থাকবে। বাংলাদেশে এই মুহুর্তে আরেকটি সহিংস অভ্যুত্থান প্রয়োজন নেই।”
ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ভারতের জনগণ আমাকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ায় আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। ভারতের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হতে পারাটা আমাদের গর্ব।”
দলের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে হাসিনা উল্লেখ করেন, “আমরা আইনগত, কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব, যাতে নির্বাচনের অধিকার সাধারণ জনগণের হাতে থাকে।”
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিজের ভূমিকা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সহিংসতা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য অবশ্যই ভুল করেছেন। কিন্তু, যেটা বলা হচ্ছে যে আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিটি পদক্ষেপের নির্দেশ দিচ্ছিলাম—এটা নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যপ্রণালী সম্পর্কে ভুল ধারণা। আমি কোনো অবস্থাতেই নিরাপত্তা বাহিনীকে জনতার ওপর গুলি চালানোর অনুমতি দিইনি।”
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




















