ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শফিকুল আলমের দাবি: শেখ হাসিনার ‘ইমেইল সাক্ষাৎকার’ কোটি কোটি টাকার পিআর প্রচারণা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০২:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৯ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে দাবি করেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিপুল অর্থ আছে, যা দিয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে পিআর প্রচারণা চালাতে এবং দামী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারছেন।

শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, উগান্ডার সাবেক স্বৈরশাসক ইদি আমিনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, আমিন নির্বাসনে নিঃশব্দ জীবনযাপন করেছিলেন, কিন্তু হাসিনা নিজের গণহত্যার ইতিহাসের পরও নীরব থাকেননি। পার্থক্যটিই হলো অর্থের শক্তি। তার সহযোগীরা বিশ্বের ব্যয়বহুল আইন সংস্থাগুলো ভাড়া করেছে এবং পিআর এজেন্সিগুলো তার জন্য একের পর এক ‘ইমেইল সাক্ষাৎকার’ সাজিয়ে রেখেছে।

প্রেস সচিবের দাবি, পশ্চিমা সাংবাদিকরা এবং ভারতের চাটুকার গণমাধ্যমেরাও নিশ্চিত নন এই উত্তরগুলো হাসিনা নিজে দিয়েছেন কিনা। তবুও তারা এগুলো প্রকাশ করছে, কারণ প্রচারণায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, এগুলো কোনো সত্য বা অনুশোচনার প্রকাশ নয়, বরং এক গণহত্যাকারীর মানবিক চেহারা দেখানোর জন্য তৈরি করা পিআর প্রচারণা।

শফিকুল আলম আরও বলেন, আগের উদাহরণ হিসেবে আইএমএফ-এর সাবেক প্রধান ডমিনিক স্ট্রস-কান এবং চিলির একনায়ক পিনোশের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, স্বৈরশাসক ও দুর্নীতিবাজদের জন্য পিআর এজেন্সি এবং আইনজীবীরা একটি ভুয়া ‘নির্দোষতার’ ছবি তৈরি করে, যেখানে নৃশংস বাস্তবতা চাপা পড়ে। তিনি সতর্ক করেন, আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও ‘ইমেইল সাক্ষাৎকার’ প্রকাশিত হতে পারে, যা গুরুত্বের দাবিদার নয়।


 

জনপ্রিয় সংবাদ

শফিকুল আলমের দাবি: শেখ হাসিনার ‘ইমেইল সাক্ষাৎকার’ কোটি কোটি টাকার পিআর প্রচারণা

আপডেট সময় ০২:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে দাবি করেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিপুল অর্থ আছে, যা দিয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে পিআর প্রচারণা চালাতে এবং দামী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারছেন।

শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, উগান্ডার সাবেক স্বৈরশাসক ইদি আমিনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, আমিন নির্বাসনে নিঃশব্দ জীবনযাপন করেছিলেন, কিন্তু হাসিনা নিজের গণহত্যার ইতিহাসের পরও নীরব থাকেননি। পার্থক্যটিই হলো অর্থের শক্তি। তার সহযোগীরা বিশ্বের ব্যয়বহুল আইন সংস্থাগুলো ভাড়া করেছে এবং পিআর এজেন্সিগুলো তার জন্য একের পর এক ‘ইমেইল সাক্ষাৎকার’ সাজিয়ে রেখেছে।

প্রেস সচিবের দাবি, পশ্চিমা সাংবাদিকরা এবং ভারতের চাটুকার গণমাধ্যমেরাও নিশ্চিত নন এই উত্তরগুলো হাসিনা নিজে দিয়েছেন কিনা। তবুও তারা এগুলো প্রকাশ করছে, কারণ প্রচারণায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, এগুলো কোনো সত্য বা অনুশোচনার প্রকাশ নয়, বরং এক গণহত্যাকারীর মানবিক চেহারা দেখানোর জন্য তৈরি করা পিআর প্রচারণা।

শফিকুল আলম আরও বলেন, আগের উদাহরণ হিসেবে আইএমএফ-এর সাবেক প্রধান ডমিনিক স্ট্রস-কান এবং চিলির একনায়ক পিনোশের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, স্বৈরশাসক ও দুর্নীতিবাজদের জন্য পিআর এজেন্সি এবং আইনজীবীরা একটি ভুয়া ‘নির্দোষতার’ ছবি তৈরি করে, যেখানে নৃশংস বাস্তবতা চাপা পড়ে। তিনি সতর্ক করেন, আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও ‘ইমেইল সাক্ষাৎকার’ প্রকাশিত হতে পারে, যা গুরুত্বের দাবিদার নয়।