ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “তিনি ভারতে গিয়ে হরতাল ঘোষণা করছেন এবং গাড়ি পোড়াচ্ছেন। কালকেও গাড়ি পুড়েছে। দিল্লিতে বসে দেশের সর্বনাশ আর কইরো না। এত সাহস থাকলে, জনগণের প্রতি ভালোবাসা থাকলে পালিয়ে আছেন কেন? আসেন না কেন দেশে? আমরাও জেল খেটেছি দীর্ঘদিন, আপনারাও খাটেন কিছুদিন।”
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের কিসমত কেশুর বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বড়গাঁও ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “গণভবনের কাছে জনগণ পৌঁছালে সামরিক বাহিনীর টেলিফোনে হাসিনা হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে যান। তখন এমন অবস্থা হয়েছিল, পাবলিক আপনাকে ছিঁড়ে খায়ে ফেলবে।”
জামায়াতকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, “কিছু দল প্রচার করছে যে তারাই একমাত্র দেশপ্রেমিক ও সৎ দল এবং তারা ‘বেহেস্তের টিকিট’ বিক্রি করে। বেহেস্তের টিকিট আল্লাহতাআলা ছাড়া আর নবী ছাড়া কেউ দিতে পারে না। এসব ইসলামের অপব্যাখ্যা।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যারা মোনাফেকি করে তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে—এটি ইসলাম নয়।”
দল ক্ষমতায় এলে বিএনপি কী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে তা জানিয়ে ফখরুল বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে ১৫ মাসের মধ্যে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে। মা-বোনদের জন্য ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনার ‘ফ্যামিলি কার্ড’ এবং কৃষকদের জন্য সার, বিষ ও পানি ন্যায্যমূল্যে কেনার ‘ফার্মাস কার্ড’ দেওয়া হবে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা হবে, যাতে বিচারকরা নির্ভয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।”
সভায় ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ডা. আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান তুহিনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

























