ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাবির ১০০১ জনের বিবৃতি– অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে সতর্ক অগ্রগতির ইঙ্গিত উপাচার্যের

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৯ বার পড়া হয়েছে

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিবৃতি দেওয়া ১০০১ জনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকেরা রয়েছেন—এ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি অবস্থান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি জানিয়েছেন, তালিকায় থাকা শিক্ষকদের ‘অপরাধের মাত্রা’ যাচাই করে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরের পর ডাকসু নেতাদের সঙ্গে আলাপের সময় উপাচার্য বলেন, “আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা আইনে টিকবে না। সবকিছুই শেষ পর্যন্ত আইনের শরণাপন্ন হবে। তাই পুরো প্রক্রিয়াই আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে করছি। শিগগিরই সিন্ডিকেটে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আসবে।”

১০০১ জনের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রকৃত সংখ্যা যাচাইয়ের কাজ চলছে। দ্রুতই পুরো ডকুমেন্ট আইনজীবী প্যানেলে পাঠানো হবে। “আমাদের শিক্ষক কতজন এবং তারা সত্যিই বিবৃতি দিয়েছেন কিনা—এগুলো নিশ্চিত হয়ে তারপরই আইনের চোখে অপরাধের মাত্রা নির্ধারণ করা হবে,” মন্তব্য করেন তিনি।

উপাচার্য জানান, তালিকায় থাকা কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আরও কয়েকজনের বিষয়ে প্রক্রিয়া চলমান। তার ভাষায়, “আমরা স্পষ্ট ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি—এটা সবারই জানা। তাই প্রশাসনিকভাবে হিকমা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নেব।”


 

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবির ১০০১ জনের বিবৃতি– অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে সতর্ক অগ্রগতির ইঙ্গিত উপাচার্যের

আপডেট সময় ০৬:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিবৃতি দেওয়া ১০০১ জনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকেরা রয়েছেন—এ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি অবস্থান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি জানিয়েছেন, তালিকায় থাকা শিক্ষকদের ‘অপরাধের মাত্রা’ যাচাই করে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরের পর ডাকসু নেতাদের সঙ্গে আলাপের সময় উপাচার্য বলেন, “আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা আইনে টিকবে না। সবকিছুই শেষ পর্যন্ত আইনের শরণাপন্ন হবে। তাই পুরো প্রক্রিয়াই আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে করছি। শিগগিরই সিন্ডিকেটে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আসবে।”

১০০১ জনের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রকৃত সংখ্যা যাচাইয়ের কাজ চলছে। দ্রুতই পুরো ডকুমেন্ট আইনজীবী প্যানেলে পাঠানো হবে। “আমাদের শিক্ষক কতজন এবং তারা সত্যিই বিবৃতি দিয়েছেন কিনা—এগুলো নিশ্চিত হয়ে তারপরই আইনের চোখে অপরাধের মাত্রা নির্ধারণ করা হবে,” মন্তব্য করেন তিনি।

উপাচার্য জানান, তালিকায় থাকা কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আরও কয়েকজনের বিষয়ে প্রক্রিয়া চলমান। তার ভাষায়, “আমরা স্পষ্ট ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি—এটা সবারই জানা। তাই প্রশাসনিকভাবে হিকমা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নেব।”