ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসির আচরণবিধিতে দ্বৈত নীতি ও অস্পষ্টতা: পোস্টার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিশির মনির

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০২:২০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫১৭ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আয়োজিত সংলাপে প্রণীত আচরণবিধির বেশ কিছু অসঙ্গতি ও অস্পষ্টতা তুলে ধরেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধিদলের সদস্য শিশির মনির। বিশেষভাবে পোস্টার ব্যবহারের নীতি, শাস্তি আরোপের এখতিয়ার এবং নির্বাচনী অভিযোগ নিষ্পত্তির সময়সীমা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত সংলাপে শিশির মনির বলেন, আচরণবিধির ৭-এর ‘ক’ উপধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—“কোনো প্রকার পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না”, অথচ একই ধারার ‘ঘ’ উপধারায় পোস্টারসহ বিভিন্ন প্রচারসামগ্রী অপসারণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
তার প্রশ্ন—“একদিকে পোস্টার নিষিদ্ধ করছেন, আবার অন্যদিকে পোস্টার সরানো নিয়েও বিধান দিচ্ছেন—এ দ্বন্দ্ব কেন? এতে ইসির দ্বৈত নীতি স্পষ্ট হয়।”

শাস্তি আরোপের বিধানেও অস্পষ্টতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শিশির মনির বলেন, “আচরণবিধিতে কে শাস্তি আরোপ করবে তা স্পষ্ট নয়। কোনো প্রার্থীর অপরাধে তার রাজনৈতিক দলও দায়ী হলে দলকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান থাকা উচিত।”

নির্বাচন-পূর্ব অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা বাধ্যতামূলক করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “অভিযোগ জমা দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে। নাহলে প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলবে।”

এছাড়া আচরণবিধি পাঠ প্রার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান তিনি। বর্তমানে রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আচরণবিধি পাঠ করা ঐচ্ছিক।
এ প্রসঙ্গে শিশির মনির বলেন, “ইশতেহার ও আচরণবিধি পাঠ বাধ্যতামূলক হলে নতুন প্রজন্মের কাছে একটি গঠনমূলক ও শিক্ষণীয় নির্বাচন সংস্কৃতি গড়ে উঠবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানের শীষের পক্ষে তরুণদের ঢেউ: বগুড়ায় জেলা ছাত্রদলের টানা কর্মসূচি

ইসির আচরণবিধিতে দ্বৈত নীতি ও অস্পষ্টতা: পোস্টার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিশির মনির

আপডেট সময় ০২:২০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আয়োজিত সংলাপে প্রণীত আচরণবিধির বেশ কিছু অসঙ্গতি ও অস্পষ্টতা তুলে ধরেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধিদলের সদস্য শিশির মনির। বিশেষভাবে পোস্টার ব্যবহারের নীতি, শাস্তি আরোপের এখতিয়ার এবং নির্বাচনী অভিযোগ নিষ্পত্তির সময়সীমা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত সংলাপে শিশির মনির বলেন, আচরণবিধির ৭-এর ‘ক’ উপধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—“কোনো প্রকার পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না”, অথচ একই ধারার ‘ঘ’ উপধারায় পোস্টারসহ বিভিন্ন প্রচারসামগ্রী অপসারণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
তার প্রশ্ন—“একদিকে পোস্টার নিষিদ্ধ করছেন, আবার অন্যদিকে পোস্টার সরানো নিয়েও বিধান দিচ্ছেন—এ দ্বন্দ্ব কেন? এতে ইসির দ্বৈত নীতি স্পষ্ট হয়।”

শাস্তি আরোপের বিধানেও অস্পষ্টতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শিশির মনির বলেন, “আচরণবিধিতে কে শাস্তি আরোপ করবে তা স্পষ্ট নয়। কোনো প্রার্থীর অপরাধে তার রাজনৈতিক দলও দায়ী হলে দলকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান থাকা উচিত।”

নির্বাচন-পূর্ব অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা বাধ্যতামূলক করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “অভিযোগ জমা দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে। নাহলে প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলবে।”

এছাড়া আচরণবিধি পাঠ প্রার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান তিনি। বর্তমানে রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আচরণবিধি পাঠ করা ঐচ্ছিক।
এ প্রসঙ্গে শিশির মনির বলেন, “ইশতেহার ও আচরণবিধি পাঠ বাধ্যতামূলক হলে নতুন প্রজন্মের কাছে একটি গঠনমূলক ও শিক্ষণীয় নির্বাচন সংস্কৃতি গড়ে উঠবে।”