নির্বাচনকে সামনে রেখে “মাসল ও ব্যাগ মানি দিয়ে ভোট হাইজ্যাকের চেষ্টা” চলছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, “কেউ গাছে কাঁঠাল রেখে গোপে তেল দিচ্ছে। কিন্তু যুবকদের ভোট ছিনিয়ে নিতে কেউ পারবে না। প্রয়োজন হলে আমরা যুবকরাই বিস্ফোরিত হবো ইনশাল্লাহ।”
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে কাফরুল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
“যুবকদের ভোট যুবকরাই দেবে”
তরুণদের উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন,
“তোমরা যার পছন্দ তাকে ভোট দাও—আমাকে দেবে কি দেবে না সেটি তোমাদের ব্যাপার। কিন্তু তোমাদের বুকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা লড়াই করব। কোনো ডাকাত তোমাদের ভোট কাড়তে আসলে সহ্য করা হবে না।”
হাসিনার রায় নিয়ে মন্তব্য
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন,
“শেখ হাসিনার মামলার রায়ের মাধ্যমে অনেক মজলুম পরিবারের কান্না কিছুটা থামবে। বিচারটি লাইভ সম্প্রচার হওয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে।”
চাঁদাবাজি নির্মূলের অঙ্গীকার
জামায়াত আমির বলেন,
“ক্ষমতায় গেলে কোনো সম্পদশালীর সম্পদ কেড়ে নেবে না; বরং তাদের রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
“আর কোনো চাঁদাবাজ ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে টাকা দাবি করার সাহস পাবে না। চাঁদাবাজি মুক্ত হলে দ্রব্যমূল্য অর্ধেকে নেমে আসবে।”
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘হিমালয় ভেদ’ লড়াই
দুর্নীতি দমনে নীতিগত অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন,
“দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে গেছে। এটি মাটিতে নামানো না পর্যন্ত আমাদের লড়াই থামবে না।”
ন্যায়বিচার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি
“রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও যেন আমিও ন্যায়বিচার পাই—এটাই চাই। বিচারকেরা যেন আবার তাদের হারানো মর্যাদা ফিরে পান।”
অর্থনীতি পুনর্গঠনের ঘোষণা
দেশের ব্যাংক, বীমা ও শিল্প খাত ‘উজাড় হয়ে গেছে’ দাবি করে তিনি বলেন,
“জনগণের সম্পদ জনগণের কাছেই ফেরানো হবে। দুর্বৃত্তদের লুটপাট বন্ধ করা হবে।”
নারী কর্মীদের কর্মঘণ্টা কমানোর ব্যাখ্যা
নারীদের কর্মঘণ্টা কমানোর প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“এটি ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নারী কর্মীরা কম সময় কাজ করলে পরিবারে পূর্ণ সময় দিতে পারবেন। পরিবার ঠিক থাকলে রাষ্ট্র ঠিক থাকে।”
স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গঠনের অঙ্গীকার
তিনি বলেন,
“সকল সভ্য দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে, কিন্তু কারও প্রভুত্ব মেনে নেওয়া হবে না। স্বাধীন রাষ্ট্রনীতি গড়ে তুলবো।”




















