গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগকে নির্বাচন থেকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে। তিনি দাবি করেন, সংগঠনটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় তাদের কোনো নেতা–কর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। যদি তারা মাঠে নামে, জনগণই তাদের প্রতিহত করবে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে “নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতকরণে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা : সম্ভাবনা ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব মন্তব্য করেন। রাশেদ খান বলেন, এখনো বাস্তব অর্থে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়নি; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণও নিরপেক্ষ নয়। তিনি বলেন, “জনগণের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে—ফেব্রুয়ারিতে আসলেই নির্বাচন হবে কি না। আমরা এখন শুধু সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে আছি। সেনাবাহিনীকে গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণের পাশে থাকতে হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ফেরানোর “চক্রান্ত” চলছে এবং দলটির উদ্দেশ্য প্রকৃত নির্বাচন নয়; বরং নির্বাচন বানচাল করে আবারও ‘এক–এগারো’–ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে সংলাপে ডাকেনি ইসি—এ সিদ্ধান্তকে তিনি সঠিক বলে আখ্যায়িত করেন।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনে নিয়োগ অবশ্যই যোগ্যতার ভিত্তিতে হতে হবে; কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা পারিবারিক প্রভাব যেন ভূমিকা না রাখে। ফ্যাসিবাদ যেন আর কখনো মাথাচাড়া না দিতে পারে—সেজন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সংগঠনের সভাপতি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল্লাহ খান সাইফের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রোকন উদ্দীন, আমজনতা পার্টির সদস্য সচিব ফাতেমা তাসলিম রাধা এবং সবুজ আন্দোলনের সভাপতি কাজী রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।



















