ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোটে আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপোড়েন: ২০০–ছাড়ানো প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতিতে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০১:২৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৮৮১ বার পড়া হয়েছে

 

কওমি মাদরাসা ঘরানা ও তাবলিগের একটি বড় অংশের সমর্থন নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধর্মভিত্তিক রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে নির্বাচনী সমঝোতায় থাকা আট দলীয় প্ল্যাটফর্মে সংখ্যাগতভাবে সবচেয়ে বড় দল হলো জামায়াতে ইসলামী, যারা অতীতেও একাধিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, তারা সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা চান। তাঁর ভাষায়, “আমাদের লক্ষ্য জামায়াতের সমানসংখ্যক আসনে প্রার্থী দেওয়া। ৩০০ আসনের প্রস্তুতি আমাদের আছে, এর মধ্যে প্রায় ২০০ আসনে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী মনে করি।” তিনি আরও বলেন, সবকিছুই শেষ পর্যন্ত সমঝোতার ওপর নির্ভর করবে; দলের আকার নয়, প্রার্থী এলাকায় কতটা গ্রহণযোগ্য – সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে জামায়াতের বিভিন্ন সূত্র বলছে, তারা ২০০–রও বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী এবং সারাদেশে নিজেদের সংগঠনকে শক্ত অবস্থানে দেখছে। আসন্ন নির্বাচনে তারা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল’ গঠনের কথা জানিয়েছে। গত অক্টোবর খুলনার এক সমাবেশে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রয়োজনে সমঝোতার কারণে কিছু আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে, তবে অন্তত ২০০ আসনে তারা প্রার্থী দিতে চান।

জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণ শাখার এক শুরা সদস্য জানান, যৌথ স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগের পথেও তারা যেতে প্রস্তুত, তবে শক্ত অবস্থানের আসনগুলো নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য। তাঁর মতে, সমঝোতার আলোচনায় ২৩৩–২৪০ আসন পর্যন্ত বিষয়টি উঠতে পারে, যদিও শেষ পর্যন্ত এটি ২০০ আসনের কাছাকাছি নেমে আসবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ জানান, তাদের প্রায় ১৫০ আসনে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, “এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কত আসন পাওয়া যাবে। যেখানে যার প্রার্থী দেওয়া হবে, আট দলের কর্মীরাই একযোগে কাজ করবে।” তিনি আরও জানান, দলীয় পর্যায়ে প্রার্থী নির্বাচন প্রায় শেষ হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে জোটগত আলোচনার ওপর।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, সর্বোচ্চ সমঝোতার ভিত্তিতেই তারা প্রার্থী দেবেন। তাঁর ভাষায়, “ডিসেম্বরের শুরুতেই আমরা যৌথভাবে প্রার্থী ঘোষণা করতে চাই। আসন সংখ্যা নয়, আসনভিত্তিক জনসমর্থনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও জানান, যে দল থেকেই প্রার্থী দেওয়া হোক, জোটের সকল কর্মী তাকে জয়ী করতে কাজ করবে এবং প্রয়োজনে নির্বাচনী ব্যয়ও ভাগাভাগি করবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিভেদ ভুলে দেশ রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জামায়াত আমিরের

জোটে আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপোড়েন: ২০০–ছাড়ানো প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতিতে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন

আপডেট সময় ০১:২৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

 

কওমি মাদরাসা ঘরানা ও তাবলিগের একটি বড় অংশের সমর্থন নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধর্মভিত্তিক রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে নির্বাচনী সমঝোতায় থাকা আট দলীয় প্ল্যাটফর্মে সংখ্যাগতভাবে সবচেয়ে বড় দল হলো জামায়াতে ইসলামী, যারা অতীতেও একাধিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, তারা সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা চান। তাঁর ভাষায়, “আমাদের লক্ষ্য জামায়াতের সমানসংখ্যক আসনে প্রার্থী দেওয়া। ৩০০ আসনের প্রস্তুতি আমাদের আছে, এর মধ্যে প্রায় ২০০ আসনে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী মনে করি।” তিনি আরও বলেন, সবকিছুই শেষ পর্যন্ত সমঝোতার ওপর নির্ভর করবে; দলের আকার নয়, প্রার্থী এলাকায় কতটা গ্রহণযোগ্য – সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে জামায়াতের বিভিন্ন সূত্র বলছে, তারা ২০০–রও বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী এবং সারাদেশে নিজেদের সংগঠনকে শক্ত অবস্থানে দেখছে। আসন্ন নির্বাচনে তারা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল’ গঠনের কথা জানিয়েছে। গত অক্টোবর খুলনার এক সমাবেশে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রয়োজনে সমঝোতার কারণে কিছু আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে, তবে অন্তত ২০০ আসনে তারা প্রার্থী দিতে চান।

জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণ শাখার এক শুরা সদস্য জানান, যৌথ স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগের পথেও তারা যেতে প্রস্তুত, তবে শক্ত অবস্থানের আসনগুলো নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য। তাঁর মতে, সমঝোতার আলোচনায় ২৩৩–২৪০ আসন পর্যন্ত বিষয়টি উঠতে পারে, যদিও শেষ পর্যন্ত এটি ২০০ আসনের কাছাকাছি নেমে আসবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ জানান, তাদের প্রায় ১৫০ আসনে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, “এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কত আসন পাওয়া যাবে। যেখানে যার প্রার্থী দেওয়া হবে, আট দলের কর্মীরাই একযোগে কাজ করবে।” তিনি আরও জানান, দলীয় পর্যায়ে প্রার্থী নির্বাচন প্রায় শেষ হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে জোটগত আলোচনার ওপর।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, সর্বোচ্চ সমঝোতার ভিত্তিতেই তারা প্রার্থী দেবেন। তাঁর ভাষায়, “ডিসেম্বরের শুরুতেই আমরা যৌথভাবে প্রার্থী ঘোষণা করতে চাই। আসন সংখ্যা নয়, আসনভিত্তিক জনসমর্থনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও জানান, যে দল থেকেই প্রার্থী দেওয়া হোক, জোটের সকল কর্মী তাকে জয়ী করতে কাজ করবে এবং প্রয়োজনে নির্বাচনী ব্যয়ও ভাগাভাগি করবে।