ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘দুই টার্মের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়—গণতান্ত্রিক রূপান্তরে বড় পরিবর্তন আসছে’ — মির্জা ফখরুল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৯ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ এখন কর্তৃত্ববাদী অবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার একটি ট্রানজিশন পিরিয়ড পার করছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং দেশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

ফখরুল জানান, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তারা আশা করছেন। তার মতে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নির্বাচন উপযোগী রয়েছে এবং নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।

তিনি আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ছয়টি কমিশন করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন, যেখানে প্রথমবারের মতো দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ—আপার হাউস ও লোয়ার হাউস—প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কাঠামো ক্ষমতার ওপর চেক অ্যান্ড ব্যালান্স প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল জানান, এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে তিনি কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠেন—এই অভিজ্ঞতা থেকে তারা একমত হয়েছেন যে কেউ দুই টার্মের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা হচ্ছে এবং বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব পরিবর্তন রাজনীতিতে ‘কোয়ালিটি অব চেঞ্জ’ নিয়ে আসবে, যদিও পরিবর্তনের পথে কিছু বাধা থাকতেই পারে।

সভায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলীসহ জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদির বোনকে প্রার্থী করার ঘোষণা, শাহবাগে জুলাই চত্বরে জনসমাবেশ

‘দুই টার্মের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়—গণতান্ত্রিক রূপান্তরে বড় পরিবর্তন আসছে’ — মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৯:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ এখন কর্তৃত্ববাদী অবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার একটি ট্রানজিশন পিরিয়ড পার করছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং দেশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

ফখরুল জানান, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তারা আশা করছেন। তার মতে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নির্বাচন উপযোগী রয়েছে এবং নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।

তিনি আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ছয়টি কমিশন করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন, যেখানে প্রথমবারের মতো দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ—আপার হাউস ও লোয়ার হাউস—প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কাঠামো ক্ষমতার ওপর চেক অ্যান্ড ব্যালান্স প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল জানান, এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে তিনি কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠেন—এই অভিজ্ঞতা থেকে তারা একমত হয়েছেন যে কেউ দুই টার্মের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা হচ্ছে এবং বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব পরিবর্তন রাজনীতিতে ‘কোয়ালিটি অব চেঞ্জ’ নিয়ে আসবে, যদিও পরিবর্তনের পথে কিছু বাধা থাকতেই পারে।

সভায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলীসহ জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।