যশোরে ব্যবসায়ী নেতা মীর সামির সাকিব সাদি হত্যা মামলায় নতুন করে উঠে এসেছে যুবদল নেতা মাসুদ আল রানার নাম। ককটেল, পেট্রলবোমা ও ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর এবার তাকে সাদি হত্যায় ‘অর্থদাতা ও পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১৭ মার্চ যশোর শহরের বাড়ির ভেতর গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নৃশংসভাবে খুন হন মুজিব সড়ক ভিআইপি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাদি। এ ঘটনায় মূল আসামি ট্যাটু সুমন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। তার দাবি—হত্যার আগে যুবদল নেতা মাসুদ আল রানা নিজের দোকানে বসেই স্থানীয় সন্ত্রাসী তুহিনকে ২০ হাজার টাকা দেন। সেই টাকা পাওয়ার পর তুহিন, সুমন, অনিকসহ আরও কয়েকজন মিলে সাদিকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
ট্যাটু সুমনের স্বীকারোক্তির পর থেকেই রানা পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার যৌথবাহিনী যশোরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে। তার কাছ থেকে ককটেল, পেট্রলবোমা ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে সাদি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মমিনুল হক জানান—মাসুদ আল রানার বিরুদ্ধে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও পটভূমির আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সাদির মা কামরুন্নাহার ট্যাটু সুমন, অনিকসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে মামলা করেছিলেন। গ্রেপ্তার এড়িয়ে সুমন ও অনিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে রিমান্ডে তারা পুরো হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়—যার ভিত্তিতেই এখন মাসুদ আল রানার নাম সামনে এসেছে।




















