ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজ-দখলবাজদের ভোট দিবেন না: মান্না

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:২৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, “আমি মানুষকে বলবো—যেসব দল চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মামলাবাজি ও দখলবাজির সঙ্গে জড়িত থাকবে, সেই দলকে ভোট দেবেন না।”

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত “বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, এখন মানুষ অনেক বেশি সচেতন। তারা রাজনৈতিক দলের অতীত আচরণ, কর্মকাণ্ড ও চরিত্র মূল্যায়ন করেই আগামী নির্বাচনে ভোট দেবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই অন্তর্বর্তী সরকার ছলচাতুরী করে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ ইতিমধ্যে হারিয়েছে। শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের পর ভারতও নিরপেক্ষ বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে। ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচন হবে কি হবে না—এ নিয়ে কোনো প্রশ্নের সুযোগ থাকবে না।”

বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেষ মুহূর্তে এসে যদি বিএনপি গণতন্ত্র মঞ্চকে মাত্র তিনটি সিট দিয়ে বলে—এর বেশি দেবো না, তাহলে আমরা কী করবো? তখন কি তাদের সঙ্গে জোটে যাবো? ভাবুন!”

গণতন্ত্র মঞ্চ ক্ষমতায় গেলে বেকার ভাতা চালু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর জন্য বছরে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

সাবেক ডাকসুর ভিপি মান্না আরও বলেন, “গণতন্ত্র মঞ্চকে মানুষের জন্য লড়াই করতে হবে। অতীত নিয়ে অহংকার না করে বর্তমানেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি তিনশো আসনে প্রার্থী দিয়ে মাঠে নামতে পারি, তাহলে নানা দল-জোট আমাদের পেছনে দৌড়াবে। তাই মানুষের কাছে পৌঁছানোই এখন সবচেয়ে জরুরি।”

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

চাঁদাবাজ-দখলবাজদের ভোট দিবেন না: মান্না

আপডেট সময় ০৬:২৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, “আমি মানুষকে বলবো—যেসব দল চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মামলাবাজি ও দখলবাজির সঙ্গে জড়িত থাকবে, সেই দলকে ভোট দেবেন না।”

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত “বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, এখন মানুষ অনেক বেশি সচেতন। তারা রাজনৈতিক দলের অতীত আচরণ, কর্মকাণ্ড ও চরিত্র মূল্যায়ন করেই আগামী নির্বাচনে ভোট দেবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই অন্তর্বর্তী সরকার ছলচাতুরী করে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ ইতিমধ্যে হারিয়েছে। শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের পর ভারতও নিরপেক্ষ বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে। ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচন হবে কি হবে না—এ নিয়ে কোনো প্রশ্নের সুযোগ থাকবে না।”

বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেষ মুহূর্তে এসে যদি বিএনপি গণতন্ত্র মঞ্চকে মাত্র তিনটি সিট দিয়ে বলে—এর বেশি দেবো না, তাহলে আমরা কী করবো? তখন কি তাদের সঙ্গে জোটে যাবো? ভাবুন!”

গণতন্ত্র মঞ্চ ক্ষমতায় গেলে বেকার ভাতা চালু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর জন্য বছরে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

সাবেক ডাকসুর ভিপি মান্না আরও বলেন, “গণতন্ত্র মঞ্চকে মানুষের জন্য লড়াই করতে হবে। অতীত নিয়ে অহংকার না করে বর্তমানেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি তিনশো আসনে প্রার্থী দিয়ে মাঠে নামতে পারি, তাহলে নানা দল-জোট আমাদের পেছনে দৌড়াবে। তাই মানুষের কাছে পৌঁছানোই এখন সবচেয়ে জরুরি।”