ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খামেনিকে হুমকি মানে আল্লাহর শত্রুতা: পাকিস্তানি সিনেটরের হুঁশিয়ারি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ধর্মীয় নেতা এবং মারজা (উচ্চতম ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ) হিসেবে অভিহিত করেছেন পাকিস্তানের সিনেট সদস্য ও শিয়া আলেম আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস জাফরি। তিনি বলেন, “খামেনিকে হুমকি দেওয়া মানে আল্লাহর শত্রু হওয়া, যার শাস্তি ইসলাম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড।”

এই বক্তব্যে তিনি ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের ফতোয়ার উল্লেখ করে বলেন, ইসলামী নেতৃত্ব বা ধর্মীয় কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে হুমকি বা হামলা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের শামিল।

মেহের নিউজ জানায়, আল্লামা জাফরি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, “ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর জানা উচিত, যদি খামেনির বিরুদ্ধে আক্রমণ হয়, তবে তা শুধু ইরানের ওপর নয়, বরং সমগ্র মুসলিম বিশ্বের ওপর আক্রমণ বলে বিবেচিত হবে। আমরা পাকিস্তান থেকেও জবাব দেব। পাকিস্তানে তখন কোনো মার্কিন নাগরিক নিরাপদে থাকবে না।”

তিনি যুক্তি দেন, “যখন তারা কোনো আইন মানে না, তখন আমরাও আর নীরব থাকব না।”

এর আগে, ইরানের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি এবং গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ হোসেইন নুরি-হামেদানি এক যৌথ ফতোয়ায় বলেন, ইসলামী উম্মাহের নেতৃত্বের ওপর হুমকি এলে ‘সংঘর্ষের রায়’ কার্যকর হবে। এই ফতোয়ায় আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই ঘটনাগুলো চলমান উত্তেজনা এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তা ঘিরে নতুন মাত্রার আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দেয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানে আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় ও জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর হার বেড়েছে

খামেনিকে হুমকি মানে আল্লাহর শত্রুতা: পাকিস্তানি সিনেটরের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ১১:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ধর্মীয় নেতা এবং মারজা (উচ্চতম ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ) হিসেবে অভিহিত করেছেন পাকিস্তানের সিনেট সদস্য ও শিয়া আলেম আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস জাফরি। তিনি বলেন, “খামেনিকে হুমকি দেওয়া মানে আল্লাহর শত্রু হওয়া, যার শাস্তি ইসলাম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড।”

এই বক্তব্যে তিনি ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের ফতোয়ার উল্লেখ করে বলেন, ইসলামী নেতৃত্ব বা ধর্মীয় কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে হুমকি বা হামলা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের শামিল।

মেহের নিউজ জানায়, আল্লামা জাফরি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, “ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর জানা উচিত, যদি খামেনির বিরুদ্ধে আক্রমণ হয়, তবে তা শুধু ইরানের ওপর নয়, বরং সমগ্র মুসলিম বিশ্বের ওপর আক্রমণ বলে বিবেচিত হবে। আমরা পাকিস্তান থেকেও জবাব দেব। পাকিস্তানে তখন কোনো মার্কিন নাগরিক নিরাপদে থাকবে না।”

তিনি যুক্তি দেন, “যখন তারা কোনো আইন মানে না, তখন আমরাও আর নীরব থাকব না।”

এর আগে, ইরানের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি এবং গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ হোসেইন নুরি-হামেদানি এক যৌথ ফতোয়ায় বলেন, ইসলামী উম্মাহের নেতৃত্বের ওপর হুমকি এলে ‘সংঘর্ষের রায়’ কার্যকর হবে। এই ফতোয়ায় আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই ঘটনাগুলো চলমান উত্তেজনা এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তা ঘিরে নতুন মাত্রার আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দেয়।