ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীরা এখনও ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সরকারের কোনো ‘প্রচ্ছন্ন মদদ’ রয়েছে কি না।
শনিবার বিকেলে গুলশান-২-এর একটি হোটেলে ‘জুলাই শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের’ সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তাঁর ভাষায়, “যারা মব তৈরি করছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? সরকার কেন ব্যর্থ? তারা কেন আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছে?”
তারেক রহমান দাবি করেন, সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পর দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার, স্বেচ্ছা পদত্যাগ, দলত্যাগের ঘোষণা—সবই জনরোষ থেকে বাঁচার চেষ্টা। কিন্তু বাস্তবে মূল অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে, যা উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, “নন-ইস্যু জিনিস নিয়ে যখন ইস্যু তৈরি করা হয়, তখন বোঝা যায়, রাষ্ট্র কারা চালাচ্ছে। কারা অতীতে কী বলেছে, এখন কী করছে—তা লক্ষ করুন। ষড়যন্ত্র থেমে নেই, বরং আরও জোরালো হচ্ছে।”
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “আমরা ৩ মাস আগেই জুলাই সনদের খসড়া দিয়েছি। এখনো তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না—কার দায়, তা জনগণ জানে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি নয় মাস আগেই বলেছিলাম, অদৃশ্য শত্রু আছে। তারা এখন একের পর এক দৃশ্যমান হচ্ছে।”
তারেক রহমান খুলনায় যুবদলকর্মী হত্যাকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “যেখানে যুবদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, তার বিচার চাওয়াকে কেন লাশ নিয়ে রাজনীতি বলা হচ্ছে?”
তার বক্তব্যে স্পষ্ট—তিনি মনে করছেন, বর্তমান সরকার নির্লজ্জভাবে রাজনৈতিক সহিংসতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহারের বদলে প্রতিহিংসার হাতিয়ার বানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি যদি আজ সরকারে থাকত, তাহলে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হতো—দেশে কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে।”
এই ভার্চুয়াল বক্তব্যে তারেক রহমান আবারও বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করেন—বিচারহীনতার সংস্কৃতি নয়, বরং রাজনৈতিক জবাবদিহিতার পরিবেশে ফিরতে হবে দেশকে। এ জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও দ্বিধাহীন ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।