ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিন্ন ব্যাখ্যা তারেক রহমানের: প্রকৃত খুনি ধরা হয়নি, ষড়যন্ত্র আরও জোরদার হচ্ছে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • ৫১৮ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যখন দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া, তখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দাবি করেছেন, এই ঘটনা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির সঙ্গে যুবদলের যোগসূত্র থাকতে পারে, তবে হত্যাকারীকে ‘অন্য জায়গা থেকে আনা হয়েছে’।

শনিবার গুলশানের হোটেল লেকশোরে “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি” উপলক্ষে ছাত্রদলের আয়োজিত এক স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় নয়, বরং অপরাধই মুখ্য—এমন নীতিতে বিএনপি দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন এখনও প্রকৃত খুনিকে গ্রেপ্তার না করায় তিনি প্রশ্ন তোলেন: “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তো বিএনপি চালায় না, সরকার চালায়। তাহলে সরকার কেন বসে আছে?”

তারেক রহমান বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে কখনো বলা হয়নি অমুককে ধরা যাবে না, তমুককে ধরা যাবে না। বরাবরই বলেছি, অপরাধী যে-ই হোক, তার বিচার হোক।” তিনি আরও বলেন, বিএনপি তিন মাস আগে জুলাই সনদের অবস্থান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে লিখিতভাবে দিয়েছে। এখন দায়িত্ব সরকারের—তারা কী করবে, কাকে নিয়ে কী করবে।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার এখন “নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।” বিএনপি নয়, বরং সরকারই প্রকৃত অর্থে আইডিয়াহীন হয়ে পড়েছে বলে তার বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের শহীদদের পরিবার নিয়ে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় ১৪২ জন শহীদ পরিবারের সদস্য, যারা তাদের স্বজনদের মৃত্যু ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।

তারেক রহমান বক্তব্যে প্রশাসনের ভেতর এখনো “স্বৈরাচারী ভূতের” অস্তিত্ব থাকার অভিযোগ তুলে বলেন, এটি দেশের জন্য ভয়াবহ সংকেত। তাঁর দাবি, এই ভূত নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, এবং জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময়েও যাঁরা এ দেশের পাশে ছিল না, আজ তারাই দেশের গান ভুলে ভিনদেশের সুর গাইছে। অথচ বিএনপি দেশের জনগণকে ক্ষমতার উৎস মনে করে এবং ৩১ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে।

তারেক রহমানের কথায় আবারও স্পষ্ট হয়, বিএনপি তাদের উপর আসা সব অভিযোগের দায় সরিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে রাষ্ট্রকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি সাবধান করে দেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা আংশিক সত্য তুলে ধরে বিএনপিকে দোষী প্রমাণের যে প্রয়াস চলছে, তা বরদাস্ত করা হবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

মিটফোর্ড হ’ত্যাকা’ণ্ডে জড়ি’তদের শা’স্তির দা’বি বিএনপি মহাসচিবের: ‘নি’র্বাচনহী’নতার ফলেই আই’নশৃঙ্খলার অ’বনতি….’

ভিন্ন ব্যাখ্যা তারেক রহমানের: প্রকৃত খুনি ধরা হয়নি, ষড়যন্ত্র আরও জোরদার হচ্ছে

আপডেট সময় ১১:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যখন দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া, তখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দাবি করেছেন, এই ঘটনা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির সঙ্গে যুবদলের যোগসূত্র থাকতে পারে, তবে হত্যাকারীকে ‘অন্য জায়গা থেকে আনা হয়েছে’।

শনিবার গুলশানের হোটেল লেকশোরে “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি” উপলক্ষে ছাত্রদলের আয়োজিত এক স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় নয়, বরং অপরাধই মুখ্য—এমন নীতিতে বিএনপি দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন এখনও প্রকৃত খুনিকে গ্রেপ্তার না করায় তিনি প্রশ্ন তোলেন: “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তো বিএনপি চালায় না, সরকার চালায়। তাহলে সরকার কেন বসে আছে?”

তারেক রহমান বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে কখনো বলা হয়নি অমুককে ধরা যাবে না, তমুককে ধরা যাবে না। বরাবরই বলেছি, অপরাধী যে-ই হোক, তার বিচার হোক।” তিনি আরও বলেন, বিএনপি তিন মাস আগে জুলাই সনদের অবস্থান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে লিখিতভাবে দিয়েছে। এখন দায়িত্ব সরকারের—তারা কী করবে, কাকে নিয়ে কী করবে।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার এখন “নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।” বিএনপি নয়, বরং সরকারই প্রকৃত অর্থে আইডিয়াহীন হয়ে পড়েছে বলে তার বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের শহীদদের পরিবার নিয়ে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় ১৪২ জন শহীদ পরিবারের সদস্য, যারা তাদের স্বজনদের মৃত্যু ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।

তারেক রহমান বক্তব্যে প্রশাসনের ভেতর এখনো “স্বৈরাচারী ভূতের” অস্তিত্ব থাকার অভিযোগ তুলে বলেন, এটি দেশের জন্য ভয়াবহ সংকেত। তাঁর দাবি, এই ভূত নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, এবং জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময়েও যাঁরা এ দেশের পাশে ছিল না, আজ তারাই দেশের গান ভুলে ভিনদেশের সুর গাইছে। অথচ বিএনপি দেশের জনগণকে ক্ষমতার উৎস মনে করে এবং ৩১ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে।

তারেক রহমানের কথায় আবারও স্পষ্ট হয়, বিএনপি তাদের উপর আসা সব অভিযোগের দায় সরিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে রাষ্ট্রকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি সাবধান করে দেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা আংশিক সত্য তুলে ধরে বিএনপিকে দোষী প্রমাণের যে প্রয়াস চলছে, তা বরদাস্ত করা হবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।