ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে জুলাই শহীদদের স্মরণে প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন, মঞ্চে ব্যতিক্রমী সম্মান প্রদর্শন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:২৬:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ৫৮৫ বার পড়া হয়েছে

জুলাই শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নগরীর হাজীগঞ্জ এলাকায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য দেখা যায়—মঞ্চের কেন্দ্রে শহীদ পরিবারের সদস্যরা আসন নেন, আর তাদের নিচে মেঝেতে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এতে শহীদদের পরিবারের প্রতি ব্যতিক্রমধর্মী সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়।

স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের পর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই আন্দোলনের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অগ্রগতির পথে রয়েছে এবং এই সরকারের মেয়াদেই এর রায় হবে। শহীদ পরিবারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যে আর্তি বুকে ধারণ করে আছেন, সেই নির্মমতার বিচার হবেই।

শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানান, প্রতিটি জেলায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং গণভবনকে একটি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাদুঘরে রূপান্তর করার পরিকল্পনা চলছে, যার উদ্বোধন হবে ৫ আগস্টের আগেই। তিনি শহীদদের কবর সংরক্ষণেরও ঘোষণা দেন এবং বলেন, সংগ্রামের ধারা চলমান থাকবে, জনগণের হাতেই তা সঁপে দেওয়া হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও ছাত্র-জনতা তাদের ত্যাগের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে জুলাইয়ে ৫৬ জন শহীদ হন, যাদের মধ্যে ২১ জনই এই জেলার সন্তান। তাদের স্মরণে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভ একটি গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানে ত্রাণ পৌঁছল গাজায়, মানবিক সংকট এখনও কমেনি

নারায়ণগঞ্জে জুলাই শহীদদের স্মরণে প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন, মঞ্চে ব্যতিক্রমী সম্মান প্রদর্শন

আপডেট সময় ১২:২৬:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

জুলাই শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নগরীর হাজীগঞ্জ এলাকায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য দেখা যায়—মঞ্চের কেন্দ্রে শহীদ পরিবারের সদস্যরা আসন নেন, আর তাদের নিচে মেঝেতে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এতে শহীদদের পরিবারের প্রতি ব্যতিক্রমধর্মী সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়।

স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের পর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই আন্দোলনের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অগ্রগতির পথে রয়েছে এবং এই সরকারের মেয়াদেই এর রায় হবে। শহীদ পরিবারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যে আর্তি বুকে ধারণ করে আছেন, সেই নির্মমতার বিচার হবেই।

শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানান, প্রতিটি জেলায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং গণভবনকে একটি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাদুঘরে রূপান্তর করার পরিকল্পনা চলছে, যার উদ্বোধন হবে ৫ আগস্টের আগেই। তিনি শহীদদের কবর সংরক্ষণেরও ঘোষণা দেন এবং বলেন, সংগ্রামের ধারা চলমান থাকবে, জনগণের হাতেই তা সঁপে দেওয়া হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও ছাত্র-জনতা তাদের ত্যাগের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে জুলাইয়ে ৫৬ জন শহীদ হন, যাদের মধ্যে ২১ জনই এই জেলার সন্তান। তাদের স্মরণে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভ একটি গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।